Avatar-এ প্রযুক্তির রমরমা! শ্যুটিংয়ে কোন কোন পদ্ধতি ব্যবহার হল জানেন?

Updated on 17-Dec-2022
HIGHLIGHTS

বড়পর্দায় মুক্তি পেল অবতার ২

আর সেই ছবির শ্যুটিংয়ে জানেন একগুচ্ছ নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে

শ্যুটিংয়ের জন্য অবতারদের মাথায় বসানো হয়েছিল ক্যামেরা

16 ডিসেম্বর বড়পর্দায় মুক্তি পেয়ে গিয়েছে Avatar 2 বা Avatar: The Way of Water। James Cameron এর নতুন ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ হইচই পড়ে গিয়েছে। গল্পের বুনোট দেখে মুগ্ধ দর্শকরা। তবে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছে এই ছবিতে ব্যবহার হওয়া প্রযুক্তি। অত্যাধুনিক সমস্ত প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। পর্দায় যে দুর্দান্ত সব ছবি ফুটে উঠেছে সেগুলো সবই তৈরি হয়েছে নানান প্রযুক্তির ব্যবহারে। 

Avatar 2 এর সিনেমাটোগ্রাফির আলাদা করে প্রশংসা করতেই হয়। এই ছবির গ্রাফিক্স এবং ভিজুয়াল রিপ্রেজেন্টেশন নজর কাড়া। 3D ফুটেজের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয় বে কম্পিউটারে তৈরি ইমোজারি, আর সেভাবেই তৈরি হয়েছে এই ছবির গ্রাফিক্স। আর কোন কোন প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে Avatar 2 এর শ্যুটিংয়ে? 

সিমুল ক্যাম ব্যবহার

এই ছবিতে রিয়েল টাইম মোশন ধরা হয়েছে এই ছবিতে। আর সেই প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে পরিচালক যখন শ্যুটিং করছিলেন তখন রিয়েল টাইমে অবতারের দুনিয়া চাক্ষুষ করতে পেরেছেন। 

পারফরম্যান্স ক্যাপচার

আগেই যেমনটা বলা হল, জেমস ক্যামেরন এর এই ছবিতে বহু কম্পিউটার জেনারেটেড ইমোজারি ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ শ্যুটিং করতে করতে যখনই পরিচালক অবতারের দিকে তাকিয়েছেন মনিটরে তখনই তাঁকে সত্যিকারের অবতারে দেখতে পেয়েছেন। 

হেড রিগ

অবতার 2 ছবির যখন শ্যুটিং চলছিল তখন সমস্ত অভিনেতারা তাঁদের মাথায় একটি করে ক্যামেরা আটকে রেখেছিলেন। আর এই ক্যামেরা আটকানোর জন্য তাঁদের মাথায় পরানো হয়েছিল হেড রিগ। এই হেড রিগ ব্যবহার করা হয়েছে মূলত মুখের ডিজিটাল শট পাওয়ার জন্য। এটার সাহায্যে মুখের সামান্য নড়াচড়া, অভিব্যক্তি ধরা পড়েছে। 

ডিজিটাল অ্যানিমেশন

এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে। সমস্ত কলাকুশলীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই ছবির জন্য। এই ছবির জন্য প্রতিটা শট, প্রতিটা ছোটখাটো জিনিসের দিকেও নজর দেওয়া হয়েছিল। আর এই শটগুলো রেন্ডার করার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হয়েছে 1000 TB হার্ড ড্রাইভ ব্যবহৃত হয়েছে এই কাজে। 

3D ফিউশন ক্যামেরা

Ghosts of the Abyss ছবিতে এর আগে পরিচালককে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল। আর এই প্রযুক্তি ছবিটিকে অন্য মাত্রায় যে নিয়ে গেছে সেটা বলা যায়। 

ADR প্রযুক্তির এর বদলে পারফরমেন্স ফিচারগুলোর রিপ্লেসমেন্ট ব্যবহার

কোথাও নতুন কিছু সংলাপ ঢোকানোর দরকার হলে বা ক্ল্যারিটি আনার থাকলে ADR প্রযুক্তি বা অ্যাডিশনাল ডায়লগ রিপ্লেসমেন্টের ব্যবহার করা হলে অনেক সময় সেটা সঠিক হয় না। তাই এই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে এই ছবিতে পরিচালক পারফরমেন্স ফিচারের রিপ্লেমেন্ট ব্যবহার করেছেন।

Subhasmita Kanji

I am Subhasmita Kanji from Kolkata. I have completed my Masters in Geography from University of Calcutta. In Media sector I have worked for several eminent houses like 4th Pillars, Bangla Jago Tv, Hindustan Times Bangla, and Digit Bangla.

Connect On :