অ্যাম্বাসেডর আবার ফিরছে ভারতের পথে, এই খবর কিছুদিন আগে ঘোষণা হতেই রীতিমত হইচই পড়ে গিয়েছিল গাড়ি প্রেমীদের মধ্যে। সেই হইচই থামতে না থামতেই আবার শোনা যাচ্ছে ভারতের গাড়ি বাজারে এবার ফিরতে পারে Hindustan Contessa। কয়েক দশক আগে অবধি এটা ভারতের গাড়ির বাজারে অন্যতম বিলাসবহুল গাড়ি হিসেবেই পরিচিত ছিল। হিন্দুস্তান মোটরসই ফেরাচ্ছে এই আইকনিক গাড়ি, এমনটাই শোনা যাচ্ছে।
একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে টাইআপ করেছে হিন্দুস্থান মোটরস। আধুনিক সমস্ত ফিচার রাখা হবে এই গাড়িতে। সঙ্গে থাকতে পারে তার রেট্রো লুক!
1980-90 সালে ভারতের রাস্তা এক প্রকার শাসন করত এই কন্টেসা। অনেকেরই মন জয় করেছিল তার ফিচার দিয়ে। এখন ইলেকট্রিক গাড়ি হিসেবে সে ফিরতে চলেছে। একটি ইউরোপীয় সংস্থার সঙ্গে হিন্দুস্থান মোটরসের চুক্তির কথা প্রকাশ্যে এলেও কোন কোম্পানি সেটা এখনও জানা যায়নি। হিন্দুস্থান মোটরস 51% এবং সেই কোম্পানি 49% এর মালিকানা পাবে বলেই জানা যাচ্ছে। হিন্দুস্থান মোটরসের চেয়ারম্যান উত্তম বসু জানিয়েছেন এই গাড়ি নতুন করে বাজারে আনার বিষয়ে ইতিমধ্যে 600 কোটি টাকা লগ্নি পাওয়া যাবে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে যেমনটা বলা হল ইলেকট্রিক ভার্সনে লঞ্চ হবে এবার এই গাড়িটি। থাকবে একের পর এক অত্যাধুনিক ফিচার। এই গাড়িতে 1.5 লিটারের ইঞ্জিন ব্যবহার হয়েছিল। পরে শক্তি বাড়ানোর জন্য 1.8 লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন করা হয়। তখন এই গাড়ির ইঞ্জিন তৈরি করেছিল জাপানের গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা Isuzu।
কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের পথে ইলেকট্রিক ভার্সনের অ্যাম্বাসেডর দেখা যেতে পারে। যদিও এই গাড়ির ইন্টিরিয়র কেমন হবে সেটা এখনও জানা যায়নি। তবে নতুন এই সেডানের কেবিনে অনেকটা বেশী জায়গা ও ড্যাশবোর্ডে আধুনিক ডিজাইন আশা করা যেতে পারে। অনেক নতুন অত্যাধুনিক ফিচারের সঙ্গে রেট্রো লুকটাও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কন্টেসা গাড়ির ট্রেডমার্কের জন্য হিন্দুস্থান মোটরস আবেদন করেছে। মে মাসেই আবেদন করা হয়েছে ট্রেডমার্কের জন্য। 2014 সাল অবধি উত্তরপাড়ার কারখানাতেই অ্যাম্বাসেডর উৎপাদন করা হতো। কিন্তু এখন এই ইলেকট্রিক ভার্সনের গাড়িটি আর রাজ্যে উৎপাদন করা হবে না। কোম্পানির চেন্নাইয়ের কারখানা থেকেই অ্যাম্বাসেডরের উৎপাদন হবে বলে জানা যাচ্ছে একাধিক রিপোর্ট থেকে। আগে সেখান থেকে মিৎসুবিশি গাড়ি উৎপাদন করা হতো।
একটা সময় অবধি হিন্দুস্থান মোটরস ভারতের বৃহত্তম গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা ছিল। কিন্তু তারপর 2014 সালে তারা উৎপাদন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নতুন ভাবে ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করে তারা আবার ভারতের গাড়ির বাজারে পুরনো জমি ফিরে পায় কী না সেটাই এখন দেখার।