Hero motorcrop বাজারে আনল তাদের নতুন বাইক Hero Passion XTec। কম্পিউটার বাইক বিভাগে হিরো হচ্ছে অন্যতম জনপ্রিয় বাইকের ব্র্যান্ড। ভারতের বাজারে একটার পর একটা hero passion বাইক লঞ্চ হয়েছে। এই মডেলটি বেশ জনপ্রিয়। একাধিক অত্যাধুনিক সমস্ত ফিচার নিয়ে এবার এল Hero Passion XTec। এই বাইকে রয়েছে ব্লুটুথ এর সুবিধা ব্লুটুথ কানেক্ট করা যাবে এই বাইকে। সঙ্গে রয়েছে ইউএসবি চার্জিং এর সুবিধাও।
আপাতত দুটো ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যাবে এই বাইক। ডিস্ক এবং ড্রাম ভ্যারিয়েন্ট। এই বাইকের ডিজাইনও ঢেলে সাজানো হয়েছে নতুন করে। এই বাইকের দাম কত এবং আর কী কী ফিচার আছে?
এক্স শো রুম থেকে Hero Passion XTec কেনা যাবে। ভারতে এই বাইকের ড্রাম ব্রেক ভ্যারিয়েন্টের দাম হচ্ছে 74590 টাকা। এটা এক্স শোরুম প্রাইজ। তবে ডিস্ক ব্রেক ভ্যারিয়েন্টের দাম একটু বেশি খরচ হবে। এই ভ্যারিয়েন্টের দাম হচ্ছে 78990 টাকা। এটাও এক্স শোরুমের দাম। অর্থাৎ Hero Passion XTec এর দাম ভারতে 74590 টাকা থেকে শুরু।
Hero Motorcrop এর এই মডেলের বাইকে থাকছে 110সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, BS6 ইঞ্জিন। ইঞ্জিনে i3S প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। 4 স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন রয়েছে Hero Passion XTec এ। পাশাপাশি BS6 ইঞ্জিনে 7500 rpm এ 9 bhp শক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া 5000 rpm এ সর্বোচ্চ 9.79Nm টর্ক পাওয়া যাবে। এই বাইক আপনাকে দেবে দুর্দান্ত মাইলেজের সুবিধা।
USB চার্জিং এর সুবিধা থাকছে এই বাইকে। সঙ্গে থাকছে ব্লুটুথ কানেক্ট করার মতো ফিচার। যেখানে speedometer থাকবে তার ঠিক পাশেই থাকবে এই USB পোর্ট। এছাড়া স্মার্ট ওয়াচের মতোই বাইকের ডিসপ্লেতে দেখা যাবে মিসড কল আল্যার্ট, কে ফোন করেছিল সেটাও দেখতে পারবেন।
যাত্রীর সুরক্ষার জন্য থাকছে কম্বি ব্রেকিং সিস্টেম। ডিস্ক এবং ড্রাম ভ্যারিয়েন্টে কেনা যাবে এই বাইক। এটা আদতে একটি কম্পিউটার বাইক। শুধু Hero Passion নয়, Hero Motocropর Splender মডেলেরও XTec বাইক লঞ্চ হয়েছে। Splender এর XTec কম্পিউটার বাইক লঞ্চ করার পরেই দারুন সাফল্য পেয়েছে বাজারে।
এই বাইকটি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ন ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার দিয়ে। এতে থাকছে প্রজেক্টর LED হেডল্যাম্প। যেহেতু এই বাইকে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি রয়েছে সেহেতু এই বাইকের ডিসপ্লেতে সহজেই মেসেজ কিংবা ফোন কলের নোটিফিকেশন দেখা যাবে।
এর পাশাপাশি এই বাইকে থাকছে রিয়েল টাইম মাইলেজ ইন্ডিকেটর। থাকছে লো ফুয়েল ইন্ডিকেটর। বাইকটির সাইড স্ট্যান্ড নামানো মাত্রই এই বাইকের ইঞ্জিন আপনা থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। বাইকের কখন সার্ভিসিং প্রয়োজন আমরা অনেক সময়ই সেটা ভুলে যাই। কিন্তু এই বাইক সেটা আপনাকে মনে করে দেবে।