Google ডুডলে 246 তম জন্মদিনে এলেন রামমোহন রায়
সতীদাহ প্রথা রদ করা ছাড়াও তাঁর অসংখ্য অবদান আছে সমাজের বহু স্তরেই
রামমোহন রায় কে চেনেনা এমন বাঙালি বোধহয় নেই, আর শুধু বাঙালি কেন এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া গেলেও অবাক হওয়ারই কথা। রামমোহন এমন এক নাম যা শুধু যে লড়াই আর সত্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া বোঝায় তা নয়, তিনি এমন এক ব্যাক্তি যার বিষয়ে অনেক কথাও কম বলে মনে হয়।
ব্রিটিশ ভারতে বাংলা তথা ভারতের রেনেসা বা নবচেতনার অন্যতম প্রধান ব্যাক্তি রামমোহন রায়ের 246 তম জন্মদিন উপলক্ষে আজকে গুগল তাদের ডুডলের মাধ্যমে রামমোহন রায় কে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।
দুশবছরেরও বেশি সময় আগে তিনি নিজের সময়ের থেকে যে শুধু এগিয়ে ছিলেন তাই না ধর্মের নামে যে সব অন্যায় তিনি দেখেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করতেও পিছপা হননি কখনো। আর এর জন্য নিজের বাড়ি, পড়িবার থেকেও তাঁকে দূরে থাকতে হয়েছে। তবু দমে জাননি তিনি। এস কিছু অগ্রাহ্য করে সতীদাহ বিরোধিতাই শুধু নয় সতীদাহ বিরোধি আইন তিনি পাস ক্রাতে সক্ষম হয়েছিলেন । তবে শুধু এটুকুতেই কী সীমাবদ্ধ তিনি? তা নয়। তাঁর বহুধা কাজ ও বিস্তার পরবর্তী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক সাহায্যও করেছে।
তাঁর সঙ্গে প্রিন্স দ্বারকানাথের যোগাযোগ আর পরবর্তীতে ব্রাহ্ম ধর্মের মধ্যে দিয়ে ধর্মের অন্ধত্ব থেকে সমাজকে মুক্ত করার তাঁর চিন্তা শুদু মহর্ষী দেবেন্দ্রনাথ না প্রভাবিত করেছিল আরও অনেক কে। সেই যুগের সব যুব সমাজই তাঁর নব্য আদর্শ আর বিজ্ঞান ও পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রয়াসের চেষ্টা আর তার সুফল পরবর্তী প্রজন্ম কখনোই অস্বীকার করতে পারবেনা।
আর প্রাচ্যের এই কৃতি সন্তান 1833সালের এক শিতকালে মারা যান ব্রিটেনে। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের সংস্কৃতির এই বাহক নিজের মৃত্যুর মাধ্যমেও যেন দুই উন্নত সভ্যতাকে কোথাউ এক সুতোয় বেধে দিয়ে গেলেন, হুগলীর বঙ্গসন্তানের ব্রিস্টেলের সমাধি যেন তারই সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।