Google মানেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন, এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোন মানেই Google, দুই যেন দুইয়ের পরিপূরক। বিশেষত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা Google ছাড়া কিছুই ভাবতে পারেন না। এই কারণটা নিশ্চয় আপনার জানা? Google সেই অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে যার সাহায্যে অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলো পরিচালিত হয়। Google ছাড়াও Apple অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করে থাকে স্মার্টফোনের জন্য। এই দুটোই হল দেশের প্রধান দুই অপারেটিং সিস্টেম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। Google তৈরি করে অ্যান্ড্রয়েড এবং Apple তৈরি করে IOS। কিন্তু জানা যাচ্ছে এখন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের এবার থেকে নতুন ফোন কিনতে হলে দিতে হবে বেশি টাকা।
ভারতের একটি সরকারি সংস্থা হল কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া। কী কাজ করে এই সংস্থা? এদের মূল লক্ষ্যই হল। যে কোনও কোম্পানিকে তাদের আধিপত্য খাটিয়ে প্রভাবকে অপব্যবহার করা থেকে আটকায়। আর এই ধরনের একটি মামলা হয়েছিল Google- এর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছিল নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে Google নাকি অন্যায্য ব্যবসা করছে ভারতে। এই মামলার মূল বক্তব্য ছিল অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনলে সেখান থেকে কিছুতেই Google -এর অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলোকে সরানো যায় না। এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই Google-কে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া Google-কে দোষী সাব্যস্ত করে বেকি সঙ্গে Google-কে NCLAT এর তরফেও কোনও সাহায্য করা হয়নি। এই মামলার পর Google সুপ্রিম কোর্টে যায় এই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে। একই সঙ্গে মোটা টাকার জরিমানার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় Google। 16 জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে।
Google -এর তরফে একটি ব্লগপোস্ট করা হয়েছে। সেখানে তারা জানিয়েছে এই মামলার কারণে যদি সত্যি তাদের জরিমানা হয় তাহলে সেটার মূল্য তারা যে ভারতের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের থেকেই তুলবে সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না! তবে হ্যাঁ এই জরিমানা হলে এটা স্পষ্ট যে ভারতের প্রযুক্তির উন্নতির ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা হবে। বেড়ে যাবে স্মার্টফোনের দাম। একই সঙ্গে সফটওয়্যার আপডেট পেতেও দেরি হবেন ফলে সাইবার হামলার আশঙ্কা তৈরি হবে। ফলে বুঝতেই পারছেন সবটা মিলিয়েই একটা আশঙ্কার জায়গা তৈরি হচ্ছে। অনলাইন ব্যাংকিং থেকে সমস্ত কিছুর উপরেই এটার প্রভাব পড়বে। এখন সবই নির্ভর করে এই শুনানির উপর।