ভারতে প্রথম, বাংলার হাত ধরে চাঁদের গহ্বরের ওপর একটি গবেষনা হবে

Updated on 30-Jan-2018
HIGHLIGHTS

পূর্ণগ্রাস চলাকালীন ১০ সেকেন্ড অন্তর চাঁদের মাটির ছবি তোলা হবে, তাতেই ধরা পড়বে বিভিন্ন গহ্বর

বাঙালির কাছে চাঁদ কৈশরের স্বপন বোনা ‘চাঁদের পাহাড়’। তবে এবার চাঁদের পাহাড় না হলেও বাংলায় বসে এই দেশে প্রথম খোঁজা হবে চাঁদের গহ্বর।আগামী কাল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহন, এবং এই দিনই হবে এক আকাশে তিন চাঁদের মহাজাগতিগ ঘটনা। আর এই দিনেই মেদিনীপুরের সীতাপুর থেকে এক দল বিজ্ঞানী চোখ রাখবেন চাঁদে। ‘ইন্ডিয়ান সেন্টার ফর স্পেস ফিজিক্স’ এর গবেষকরা টেলিস্কোপে চোখ রাখবেন আগামী কাল। ফ্লিপকার্টের কিছু সেরা ব্লুটুথ স্পিকার

কিন্তু আদতে ঠিক কি অনুসন্ধান করবেন বিজ্ঞানীরা? এই প্রশেন্র উত্তরে এই সংস্থার অধিকর্তা কলকাতার এস এন বোস সেন্টার ফর বেসিক সায়েন্সেসের অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বাজ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার অধ্যাপক সন্দীপকুমার চক্রবর্তী বলেছেন যে চাঁদে গ্রহানু বা উল্কা আছড়ে পরে গর্ত তৈরি করে অনেক সময় বিভিন্ন গ্রহানুও তৈরি করে এই ধরনের গহ্বর। আর এখন সেই নতুন তৈরি হওয়া গহ্বরের খোঁজ করা হচ্ছে। এর আগে ‘নাসা’ এই ধরনের অনুসন্ধান করেছে। তবে ভারতে এই ধরনের অনুসন্ধান এই প্রথম হবে।

কিন্তু সীতাপুরকেই কেন বাছা হল এই অনুসন্ধানের জন্য? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়েছে যে সীতাপুরের ওই অঞ্চল থেকে অন্য গ্রহের গবেষণা কেন্দ্র আছে।  সেখানে আছে উন্নত মানের টেলিস্কোপ। তার সাহায্যেই পূর্ণগ্রাস চলাকালীন ১০ সেকেন্ড অন্তর চাঁদের মাটির ছবি তোলা হবে। তাতেই ধরা পড়বে বিভিন্ন গহ্বর। কিন্তু চাঁদে এমন গহ্বর তৈরি হচ্ছে কেন?

এর উত্তরে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে যখন সৌর জগতের তৈরি হওয়ার সময় অনেক গ্রহানু ছিটিয়ে গেছিল বিভিন্ন দিকে, কিন্তু তার অধিকাংশই টেনে নেয় বৃহস্পতি আর শনি তবু তার পরেও কিছু থেকে যায় মহাকাশে। এর মধ্যে কিছু উল্কা পৃথিবীতে পড়লেও তা বায়ুমন্ডলের সংস্পর্শে এসে ধংশ হয়ে যায়।কিন্তু চাঁদে অনেক ছোট ছোট গ্রহানু বা উল্কা থেকেওই গহ্বর তৈরি হয় তা দেখার জন্যই এই গবেষনা করা হচ্ছে।

সোর্সঃ

Connect On :