ভারত থেকে বাংলাদেশ, জার্মানি থেকে আমেরিকা সকলেই এখন ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত। এবার ফুটবলের মহারণে কী হচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। বহু তাবড় তাবড় দলকে সাধারণ কিছু দল হারিয়ে দিচ্ছে। ঘটে যাচ্ছে অঘটন। সাক্ষী থাকছে গোটা বিশ্ব। জাপান, ইরান, সৌদি আরবের খেলা দেখে মুগ্ধ সকলেই। সেখানে আবার আর্জেন্টিনা, জার্মানির হার দুঃখ দিয়েছে দর্শকদের। একদিকে যখন এত কিছু ঘটে যাচ্ছে তখন জানেন কি এবার বিশ্বকাপে ঠিক কতটা প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে? একদমই, এটা ফুটবলের মহারণ নাকি প্রযুক্তির ঠিক বোঝা হচ্ছে না! প্রতিটা ম্যাচেই FIFA ব্যবহার করছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। FIFA এর তরফে কোন কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবার জানতে চান? দেখুন।
Adidas এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ ধরনের Al Rihla বল তৈরি করেছে। এটা বিশেষ কেন? কারণ এর মধ্যে রয়েছে Internal Measurement Unit বা IMU সেন্সর। ফলে এই সেন্সরের সাহায্যে সহজেই কোন খেলোয়াড় অফসাইড গোল করছে, কী হচ্ছে সেটা সহজেই ধরা পড়ছে। কোথায় রাখা হয়েছে এই সেন্সর। জানা গিয়েছে ফুটবলের একদম মাঝেই রাখা হয়েছে এই সেন্সরটি। ভিডিও অপারেশন রুমে এই বল সরাসরি সিগন্যাল পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে Adidas এবং FIFA। 50বার তথ্য মিলছে প্রতি সেকেন্ডে!
একটি অ্যাপ রাখা হয়েছে যেখানে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের খেলার বিশ্লেষণ থাকছে যথাযথ ভাবে। এছাড়া রাখা হয়েছে বহু ক্যামেরা। গোটা স্টেডিয়াম জুড়েই ছড়িয়ে আছে ক্যামেরা, এই ক্যামেরার সাহায্যেই কোন খেলোয়াড় কতটা দূরত্ব অতিক্রম করেছেন কী হচ্ছে সেই সমস্তটাই দেখা যাবে। আলাদা একটি অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হচ্ছে খেলোয়াড়দের ট্র্যাক করার জন্য। তাছাড়া কোন খেলোয়াড় মাঠের কোথায় বলটা পাচ্ছেন সেটাও এর সাহায্যে দেখা যাবে।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের রমরমা এবার বিশ্বকাপ জুড়ে। এই কৃত্রিম উপাদান বুঝিয়ে দেবে কোন খেলোয়াড় অফসাইড হল করল, মাঠে কী হল। আর সব তথ্য চলে যাবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির কাছে।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির গুরুত্ব বিশ্বকাপে বেশ বেড়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এবার সেমি অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তির সাহায্যে অফসাইড গোল নির্ধারণ করা হচ্ছে। 50বার করে খেলোয়াড়দের ট্র্যাক করছে এটি প্রতি সেকেন্ডে। এটার জন্য 29টি আলাদা ডেটা পয়েন্ট এর ট্র্যাক রাখা সম্ভব হচ্ছে। সঙ্গে প্রতিটি খেলোয়াড়কে আলাদা ভাবে মনিটর করা যাচ্ছে। অফসাইড গোল সহজেই নির্ধারণ করা যাচ্ছে।