Elon Musk মানেই অসম্ভবকে সম্ভব করা। সেটা ইলেকট্রনিক গাড়ির জগতে বিপ্লব আনা হোক, বা রকেটে করে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর চেষ্টা, বিজ্ঞানের কাছে যে অসম্ভব বলে প্রায় কিছুই হয় না সেটাই যেন বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে তিনি মাটির নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সেটার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রায় সাফল্য পেয়ে গিয়েছেন। কয়েক মাস আগেই তিনি Twitter এর মালিকানাও পেয়েছেন। এবার তাঁর লক্ষ্য একদম অন্য কিছু।
মানব সভ্যতার নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন Elon Musk। যদি এটা সম্ভব করতে পারেন তাহলে সেটা যে একটা বৈপ্লবিক কাজ হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কী করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি? Musk জানিয়েছেন তিনি মানুষের খুলির সঙ্গে একটি বিশেষ ধরনের চিপ বসানোর কাজ করবেন। আর চিপ যুক্ত করা থাকবে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে। জানি এতদূর পড়ে আপনার মনে হচ্ছে ধুস! এও আবার হয় নাকি! এ যে কোনও Sci-fi এর গল্প। কিন্তু না এটাও বাস্তব হতে চলেছে।
মার্কিন ধনকুবের এটাকে আগামী 6 মাসের মধ্যে বাস্তব করতে চলেছেন। Musk এর কথায় এই প্রযুক্তির সাহায্যেই মানুষ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। Neuralink, একটি সংস্থা, বলা ভালো মাস্কের সংস্থা এখন এই বিষয় নিয়েই কাজ করছে। এই সংস্থা যদি সফল হয় তাহলে সত্যি মানব সভ্যতার ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে যাবে।
এই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে মানুষের মাথার খুলির মধ্যে বসিয়ে দেওয়া হবে একটা ছোট্ট চিপ। এক চিপের সাইজ হবে একটি কয়েনের মতো। আর সেই কয়েন যুক্ত করা থাকবে একটি কম্পিউটারের সঙ্গে। আর এই কাজ নাকি মাত্র 6 মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। আর যাতে তারা এই কাজ সহজে করতে পারে তার জন্য ইতিমধ্যেই মাস্কের এই সংস্থা মার্কিন নিয়ামক সংস্থার কাছে আবেদন জানিয়েছে। একবার সেই আবেদন মঞ্জুর হলে, অনুমোদন মিললেই চালু হয়ে যাবে এই চিপ ইমপ্ল্যান্টের কাজ।
মানুষের মাথায় বসানোর আগে আপাতত Neuralink এর বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তি বাঁদরের উপর অ্যাপ্লাই করে দেখছেন। প্রোটোটাইপ তৈরি করা সহজ বলেই জানিয়েছেন এলন মাস্ক। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি বলেন একটি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত প্রোডাক্ট তৈরি করা কঠিন, কিন্তু তাঁরা সেটাই করতে চাইছেন। ডেমো দেখানো হয়েছে যে কীভাবে বাঁদরের মাথায় এই চিপ বসানো হয়েছে আর সেই চিপের সাহায্যে কী করে বাঁদরটি কিবোর্ডে টাইপ করছে। শুধু তাই নয়, রীতিমত টাইপিং চালিয়ে যাচ্ছিল সেই বাঁদর। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে এই চিপ আপগ্রেড করা যাবে বলেও জানান মাস্ক।
মনে করা হচ্ছে যাঁদের মস্তিষ্ক দুর্বল হয়ে গিয়েছে এই প্রযুক্তি অর্থাৎ Brain Computer Interface এর প্রযুক্তির সাহায্যে তাঁরা অনেকটাই উপকৃত হবেন। তবে এই চিপ শুধু মাথায় নয়, শরীরের অন্য কোথাও বসানো যায় কিনা সেই বিষয়টাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নানান বিষয় নিয়ে এখন Elon Musk এর Neuralink কাজ করছে বলেই জানা গিয়েছে।