পেট্রোল ডিজেলের গাড়ির বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে ইলেকট্রিক গাড়ি। এখন কম বেশি সব কোম্পানি তাদের নিজস্ব ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করছে। একদিকে এই গাড়ি যেমন দূষণ কমায় তেমনই বাড়তে থাকা পেট্রোলের দাম নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। কিন্তু একটা চিন্তা থেকেই যায়। মাঝপথে যদি গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে যায়? তখন? এই একটা ভয়ের কারণেই অনেকে ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে গিয়েও কিনতে পারে না। এবার সেই সমস্যার সমাধান করতে এল BYD E6 ইলেকট্রিক গাড়ি। এই গাড়িতে থাকছে লম্বা রেঞ্জ।
ভারতের রাস্তায় এখনও যেহেতু সেভাবে কোনও চার্জিং সিস্টেম তৈরি হয়নি, রাস্তায় চলতে চলতে গাড়ির চার্জ ফুরালে যেহেতু এখনও কোথাও চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই সেক্ষেত্রে লম্বা রেঞ্জ ভীষণ প্রয়োজন এই ইলেকট্রিক গাড়িগুলোর। প্রিমিয়াম বিভাগে BYD E6 গাড়িটি লঞ্চ করা হয়েছে।
BYD E6 গাড়িটি যখন লঞ্চ করা হয় তখন কোম্পানির তরফে দাবি করা হয়েছিল যে এই গাড়িটি লম্বা রেঞ্জ দেবে। আর সেটা প্রমাণ করল সে দিল্লি থেকে মুম্বাই অবধি এক চার্জ গাড়ি চালিয়ে।
এই প্রথম ভারতের কোনও ইলেকট্রিক গাড়ি এতটা দূরত্ব অতিক্রম করল। এর ফলে সে ভারতের নিজস্ব বুক অফ রেকর্ড আছে, অর্থাৎ ইন্ডিয়ান বুক অফ রেকর্ডে নিজের নাম তুলে নিয়েছে। চিনের এই ইলেকট্রিক গাড়িতে শুধুই লম্বা রেঞ্জ নেই। আছে লম্বা বাস। এর আগে গাড়িটি শুধুমাত্র বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্যই বিক্রি করা হতো। কিন্তু এখন সেটি ব্যক্তিগত গ্রাহকদের জন্য বিক্রি করা হয় থাকে। এই গাড়িটি 2200 কিলোমিটার লং ড্রাইভে গেছিল সম্প্রতি। BYD E6 এর কোম্পানিটি ভারতে সাস্টেনেবল ড্রাইভ ফর সাস্টেনেবল ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীনে এই লং ড্রাইভে ব্যবস্থা করেছিল।
এই লম্বা জার্নির সময় BYD E6 4টি রাজ্যের 9টা বড় শহরকে অতিক্রম করেছে। শুধু তাই নয়, এই জার্নির সময় সে দেশের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানের উপর দিয়েও গেছে। কোম্পানির দাবি অনুযায়ী গাড়িটি এক চার্জে 1000 কিলোমিটার চলবে। এই লম্বা দূরত্ব অতিক্রম করার পথে BYD E6 গাড়িটিকে বিভিন্ন চার্জিং স্টেশন থেকে চার্জ দেওয়া হয়েছে।
এই গাড়িটি হচ্ছে ভারতের এক মাত্র MPV গাড়ি। গাড়িটিতে বক্সি ডিজাইন না থাকলেও দেখতে খুব একটা মন্দ নয়। একটাই মাত্র ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে এই গাড়ির। দাম 29.15 লাখ টাকা। এটা হচ্ছে এক্স শোরুমের দাম। এই গাড়িটির বাইরে লিমিটেড ক্রোম ফিনিশ ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও গাড়িটিতে থাকছে LED DRL।
অ্যালয় হুইল থাকছে এই গাড়িটিতে। যেমনটা বলা হল আগেই, বক্সি লুকের বদলে থাকছে ডুয়াল টোন ফিনিশ। সঙ্গে থাকছে LED টেল ল্যাম্প। সিটে রয়েছে কালো লেদার। এই গাড়ির সামনের সিটটি ইলেকট্রিক্যালি কন্ট্রোল করা যাবে। থাকছে বিভিন্ন কানেক্টিভিটির সুবিধাও। 71.7kWh ব্যাটারি থাকবে গাড়িটিতে। 180nm টর্ক পাওয়া যাবে 70kWh মোটরে। এর সাহায্যে গাড়িটি সর্বোচ্চ 130কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ছুটতে পারবে।