মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ভেসে আসছে অজানা তরঙ্গ! তবে কেউ কি যোগাযোগ করতে চাইছে আমাদের সঙ্গে!

মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ভেসে আসছে অজানা তরঙ্গ! তবে কেউ কি যোগাযোগ করতে চাইছে আমাদের সঙ্গে!
HIGHLIGHTS

২০০৭ সালে প্রথম এই রেডিও তরঙ্গ ধরা পরে, তবে এই তরঙ্গ কোথা থেকে এসেছে কে বা কারা পাঠায় তা আজও জানা যায়নি

মহাবিশ্ব মহাকাশ নিয়ে আমাদের কৌতূহলের অন্ত নেই কোন দিনিই। সেই কবে কোন যুগ ধরেই আমরা এই মহাবিশ্বের বাইরে আমাদের মতন বা অন্য কোন প্রাণী আছে কিনা সেই সম্বন্ধে খোঁজ খবর চালিয়ে যাচ্ছি। আজও এই মহাবিশ্বের অনেক কিছুই আমাদের কাছে অজানা। প্রায়ই সোনা যায় কোন কোন জায়গায় ইউএফও দেখা গেছে। তবে কোন দিনই সেই বিষয়ে কোন বিজ্ঞানী বা নাসা কেউ সত্যতা স্বীকার করেনি।

তবে সম্প্রতি একটি রেডিও তরঙ্গকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের চিন্তা। আসলে সম্প্রতি পৃথিবীর রেডিও তরঙ্গে মহাকাশ থেকে আসা একটি রেডিও তরঙ্গ ধরা পেরেছে। আর সেই নিয়েই বিজ্ঞানী মহলে চিন্তার শেষ নেই।

২০০৭ সালে প্রথম এই রেডিও তরঙ্গ ধরা পরে। তবে এই তরঙ্গ কোথা থেকে এসেছে কে বা কারা পাঠায় তা আজও জানা যায়নি।

চিন্তার ভাঁজ গবেষকদের কপালে, গবেষকদের ভাষায় একে বলে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট।

‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, তিনশো কোটি আলোকর্বষ দূরের কোনো এক অজানা উৎস থেকে আসছে এই বেতার তরঙ্গ। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার এক শক্তিশালী টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে এই সংকেত। মহাশূন্য থেকে ভেসে আসা তরঙ্গ তার শক্তি বাড়াচ্ছে প্রতিদিন। আরও জানা গেছে যে, প্রতিদিনে ওই তরঙ্গ থেকে নির্গত এর্নাজির পরিমান সূর্যের এর্নাজির চেযেও বেশি।

তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশ, কোনও শক্তিশালী ম্যাগনেটিক এলাকা থেকেই এই সংকেত আসছে। এখনও পর্যন্ত যে ফাস্ট রেডিও বার্স্ট ধরা পড়েছে, তা একরমক নয়। ফলে এর উৎস বের করা মুশকিল হয়।

তবে এফআরবি ১২১১০২ সংকেতটি বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে। এবার এই সংকেতগুলির উৎস বের করা সহজ হতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।

আরও এক গবেষক শামি চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘এই তরঙ্গ প্রতিদিন স্পষ্ট এবং জোরলো হচ্ছে, তবে এর অর্থ কি সেটা আমাদের জানতে হবে।’’

জানা গেছে আগের তরঙ্গের থেকে সাম্প্রতিক কালে তরঙ্গের শক্তি প্রায় ৫০০ গুন বেশী। এই তরঙ্গ পৃথিবীর জন্য কোনও অশনি সংকেত নয় তো? উত্তরের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গবেষকরাও।    

সোর্সঃ

Digit.in
Logo
Digit.in
Logo