পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ভাঙ্গা স্পেস স্টেশান!

পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে ভাঙ্গা স্পেস স্টেশান!
HIGHLIGHTS

পৃথিবীর পাঠানো এই উপগ্রহটি এখন তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে আমাদের পৃথিবীর দিকেই

একেই কি বলে খোদার ওপর খোদকারী? এরকম ভাবার কারন আর কিছুই নয় একটি কৃত্রিম উপগ্রহ। আমাদের পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের বানানো একটি উপগ্রহ এবার ক্ষতি করতে পারে আমাদের ধরার? সেই তালিকায় আমরাও আছি কি? তা জানা নাগেলেও যা জানা গেছে আসুন তা একবার ভাল করে দেখে নেওয়া যাক। এগুলি হল ফ্লিপকার্টের সবথেকে বেশি বিক্রিত স্মার্টফোন

গত বছর চিন ইউএন-কে জানিয়েছিল যে তাদের একটি উপগ্রহ তিয়ানগং ১- অকেজো হয়ে গেছে বলে জানিয়েছিল। আর বিপ্ততির শুরু এখান থেকেই। কারন সেই সময় যদিও এই বিষয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি তবে সম্প্রতি জানাগেছে যে তিয়ানগং ১- স্পেস স্টেশানটি এখন সম্পূর্ণ ভাবে আয়ত্তের বাইরে চলেগেছে বলে জানিয়েছে চিন।

এর মানেতা বুঝতে পারছেন, হ্যাঁ ঠিকই অনুমান করেছেন এই তিয়ানগং ১- এখন মহাকাশে নিজের ইচ্ছেমতন ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে সমস্যা এটা নয়, বিজ্ঞানীদের কপালে ভাঁজ পরার কারন এই যে, পৃথিবীর পাঠানো এই উপগ্রহটি এখন তীব্র গতিতে ধেয়ে আসছে আমাদের পৃথিবীর দিকেই। আর এর কারন কিন্তু সেই চিরকালীন মহাকর্ষ সূত্র যে যা একবার উপরে যায় তা আবার নীচে ফিরবে কোন না কোন সময়।

এই এর ওজন প্রায় ১৮ হাজ্র পাউন্ড। আর এই বিশাল ওজনের উপগ্রহ যদি মহাবিশ্বের নিয়ম অনুসারে নীচের দিকে এসে পরে তবে যেখানে এটি পরবে সেই জায়গার কি অবস্থা হবে এই নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তবে অভয় দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা, তাদের মতে এটি তার সম্পূর্ণ ওজন নিয়ে পৃথিবীকে আঘাত করবে না। মহাকাশের এততা পথ পেরিয়ে আসতে আসতেই তা ভেঙে যাবে অসংখ্য টুকরে।

আর এর জন্য বিপদ বাড়ল বৈ কমলনা। কারন এই ছোট ছোট অসংখ্য টুকরো পৃথিবীর কোথায় কোথায় পরবে তা বিজ্ঞানীরাও বলতে পারবেননা। তাঁদের কাছ থেকে শুধু এটাই জানা গেছে যে এই টুকরোগুলি পৃথিবীর ৪৩ ডিগ্রি উত্তর আর দক্ষিণ দ্রাঘিমায় ঢুকতে পারে। পৃথিবীতে এই টুকরো গুলি পড়ার দুদিন আগে অব্দিও বলা যাবে না যে কোথায় পড়বে এগুলি।

অনুমান করা হচ্ছে যে এই বছরের মার্চ মাসের শেষের দিকে তিয়ানগং ১- এর টুকরো গুলি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে।

সোর্সঃ

Aparajita Maitra
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo