ভারতের বাজারে দিন দিন Electric গাড়ির চাহিদা বেড়েই চলেছে, ইলেকট্রিক গাড়ি থেকে স্কুটার হোক কিংবা বাইক সবই এখন দারুন বিক্রি হচ্ছে দেশ জুড়ে। কম বেশি সমস্ত Automobile সংস্থাগুলো ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করার দিকে ঝুঁকেছে। দেশ জুড়ে গত এক বছরের মধ্যে বহু ইলেকট্রিক বাইক এবং স্কুটার সহ গাড়ি লঞ্চ করেছে। তবে ইলেকট্রিক স্কুটারের তুলনায় চার চাকা গাড়ির সংখ্যা ভারতে নেহাতই কম। সেখানে দাঁড়িয়ে, Bounce কোম্পানি তাদের Infinity E1 স্কুটার লঞ্চ করেছে কিছুদিন আগে। বর্তমানে এই ইলেকট্রিক স্কুটারের সঙ্গে Ola কোম্পানির ইলেকট্রিক স্কুটারের তুলনা করছেন অনেকেই।
Bounce Infinity E1 স্কুটারে একাধিক সুবিধা মিলছে। এই স্কুটারের দাম যেমন কম, তেমনই এক চার্জে অনেকটা যেতে পারবে এই স্কুটার। অন্যদিকে এই স্কুটারে পেয়ে যাবেন ব্যাটারি সোয়াপ করার সুবিধা। ফলে আপনার ব্যাটারির খরচ বেঁচে যাবে অনেকটাই। এছাড়া যেহেতু এই স্কুটারের ব্যাটারি সোয়াপেবল সেহেতু এই স্কুটারকে চার্জিং পয়েন্টের কাছে নিয়ে যেতে হবে না, ব্যাটারি খুলে যে কোনও চার্জিং পয়েন্টের কাছে নিয়ে গিয়ে চার্জ দেওয়া যাবে, এই ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হতে 4 থেকে 5 ঘণ্টা লাগে। তবে যতই আপনি এই ব্যাটারি ফুল চার্জ দিন না কেন এক স্কুটার তার ব্যাটারির মাত্র দুটো ইউনিট ব্যবহার করে। Bounce Infinity E1 স্কুটারের দাম কম হলেও এটি অত্যন্ত শক্তিশালী। এছাড়া এই স্কুটারের সব থেকে বড় ফিচার কী জানেন? এই স্কুটারে সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে। আর এতগুলো কারণের জন্যই বর্তমানে এই স্কুটার ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেকট্রিক স্কুটার।
যেহেতু এই স্কুটার ব্যাটারি ছাড়া কেনা যায়, তাই এই স্কুটার আপনি ভীষণই কম দামে পেয়ে যাবেন। এই ইলেকট্রিক স্কুটারের বাজার মূল্য 70,000 টাকারও কম। তবে যদি আপনি ব্যাটারি শুদ্ধ এই স্কুটার কেনেন তাহলে আপনার খরচ পড়বে 88,100 টাকা।
হ্যাঁ, এই ইলেকট্রিক স্কুটারের এটাই সব থেকে বড় ফিচার। সিম কার্ড ব্যবহার করা যাবে বাউন্স ইনফিনিটি ই 1 ইলেকট্রিক স্কুটারে। এই স্কুটারের ব্যাটারিতে দেওয়া রয়েছে একটি সিম কার্ড। এর সাহায্যে আপনি এই ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে যেখানেই যান না কেন সেটা GPS এর সাহায্যে ট্র্যাক করা যাবে। শুধু তাই নয়, এই সিম আপনাকে একাধিক তথ্য দেবে, এই ব্যাটারির পাওয়ার কত, ইত্যাদি সমস্ত জানা যাবে। IP68 রেটিং যুক্ত এই স্কুটারের ব্যাটারি। ফলে জল লাগুক, যাই হোক এই ব্যাটারির কোনও ক্ষতি হবে না। এছাড়া সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে এই স্কুটার যদি 45,000 কিলোমিটার চালানোর আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা তিন বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সেটা বদল করে দেওয়া হবে।
এই ইলেকট্রিক স্কুটারের ম্যাক্সিমাম রেঞ্জ হচ্ছে 80 কিলোমিটার, অর্থাৎ একবার চার্জ দিয়ে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারবে এই স্কুটার। আর যদি আপনি পাওয়ার মোড অন করে এই স্কুটার চালান তাহলে পেয়ে যাবেন 60 কিলোমিটারের রেঞ্জ। আপনি এই গাড়িতে করে 200 কিলো ওজন তুলতে পারবেন। পাশাপাশি এই স্কুটারে একাধিক ফিচার রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, অ্যান্টি থেফট, লাইভ লোকেশন ট্র্যাকিং, টো অ্যালার্ট ক্রুজ, ইত্যাদি। এই স্কুটারের সামনের এবং পিছনের চাকায় আছে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে আছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন। 3 বছরের ওয়ারেন্টি মিলবে এই স্কুটারে সঙ্গে 1.5 KW হাব মাউন্টেন মোটর মিলবে। এই স্কুটারে যে টায়ার ব্যবহার করা হবে সেগুলো 12 ইঞ্চির হবে এবং টিউবলেস হবে।