ভারতের অন্যতম ধনকুবের এবার আসতে চলেছে টেলিকম ব্যবসায়। এই খবরটি ইতিমধ্যেই সকলের জানা হয়ে গিয়েছে। আসন্ন 5G ব্যবসার মাধ্যমে তিনি টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে চলেছেন। এরই মধ্যেই ব্যবসায় নামার জন্য যে লাইসেন্স দরকার সেটাও জোগাড় করে ফেলেছে Adani Group। এবার কি তবে Adani এর সঙ্গে Mukesh Ambani এর জিওর (Jio) লড়াই শুরু হবে? এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আদানি গ্রুপ টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে আসা মাত্রই তার বড় রকম প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে (Share Market)। এরই মধ্যে ভারতী এয়ারটেলের (Bharti Airtel) সোমবার দিন সকালেই NSE অথবা National Stock Exchange এ দাম পড়তে শুরু করেছে শেয়ার বাজারে। গত সপ্তাহে যখন শেয়ার বাজার বন্ধ হয় তখন এয়ারটেলের দাম ছিল 695.19 টাকা। আর সোমবার দিন সেটা কমে 661.75টাকা হয়েছে। অর্থাৎ 35 টাকার মতো দাম পড়েছে এই সংস্থার।
মনে করা হচ্ছে যে টেলিকম সংস্থাগুলোর বাজার পড়তির দিকে অর্থাৎ ভোডাফোন, এয়ারটেল সেগুলোর প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে আদানি গ্রুপের এই ব্যবসায় আসার ফলে। আর সেই আশঙ্কার কারণেই শেয়ার বাজার পড়ছে। তবে আদানি গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে তারা সরাসরি সিম কার্ড নাও বিক্রি করতে পারেন। প্রাইভেট নেটওয়ার্কের বদলে এই সংস্থা মূলত এন্টারপ্রাইজ নেটওয়ার্কে কাজ করবে। এর ফলে তারা বিমানবন্দর, সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী করে তুলবে। কিন্তু Airwave নিলামে যে আদানি গ্রুপ অংশ নিয়েছে সেটা স্পষ্ট হয়েছে। Airwave আদানি গ্রুপের সঙ্গে এয়ারটেল, ভোডাফোন, জিও অংশ নিয়েছিল। নিলামে সব কটি সংস্থাই অংশ নিতে চলেছে। আবেদন প্রত্যাহার করবে না আদানি গ্রুপ। প্রথম দুটি সংস্থা নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে চায়। তাদের আবেদনগুলো 600MHz, 700MHZ, 800MHZ, 900MHZ, সহ একাধিক স্পেকট্রামের জন্য জমা পড়েছে। 26Ghz ব্যান্ডে এই স্পেকট্রাম ব্যবহারের অধিকার পাওয়ার জন্য নিলাম আয়োজন করা হয়েছিল। এই নাইলন 26 জুলাই থেকে শুরু হবে।
শেয়ার বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে এমনিতেই জিওর কারণে এয়ারটেল ভোডাফোন প্রায় ধরাশায়ী, এখন আদানি এলে তাদের অবস্থা যে আরও করুণ হবে সেটা বলাই বাহুল্য। ফলে টেলিকম বাজারে টক্কর হবে আম্বানি এবং আদানির মধ্যে। এতদিন আদানি গ্রুপ কয়লা, বিদ্যুৎ এসব ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছে। এই গ্রুপের মালিক Gautam Adani পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি। এবার তিনি প্রতিযোগিতায় নামছেন খুচরো ব্যবসায়ী Mukesh Ambani এর সঙ্গে। মুকেশ আম্বানি মূলত টেলিকম, পেট্রোকেমিক্যাল, ইত্যাদি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু এই দুই মহারথীর টক্কর এর মাঝে গ্রাহকদের আখেরে লাভ হতে চলেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। নতুন সংস্থা এলে পরিষেবা আরও উন্নত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। বাড়তে পারে অফারও।