পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে হুহু করে। নিয়মিত তেল ভরাতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের। এই সময় যাঁরাই নতুন গাড়ি কিনছেন তাঁরা সকলেই নজর দিচ্ছেন মাইলেজের উপর। ভারতে কিন্তু এমন বেশ কিছু গাড়ি আছে যেগুলো দারুন মাইলেজ দেয়!
ক্রেতারা এখন গাড়ি কেনার সময় মূলত মাইলেজ দেখেই গাড়ি কিনছেন। আপনারও যদি গাড়ি কেনার ইচ্ছে থাকে এবং ভাল মাইলেজ যুক্ত গাড়ি কিনতে চান তাহলে দেখে নিন কোন গাড়িগুলো আপনার পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে।
'কিতনি দেতি হ্যায়?' হ্যাঁ এটাই ছিল মারুতি সুজুকি এর একসময়ের ক্যাচ লাইন। ভারতে এই গাড়ি বিখ্যাত হচ্ছে তার মাইলেজ এর জন্য। বর্তমানে এই কোম্পানি তাদের সেই দক্ষতা আবারও গাড়ির বাজারে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের সেরা মাইলেজ যুক্ত গাড়ি হচ্ছে Maruti Suzuki Celerio AMT। Cilerio এর সমস্ত মডেলের মধ্যে AMT সব থেকে বেশি মাইলেজ দেয়। এক লিটারে 26.68 কিলোমিটার অবধি মাইলেজ দেয় এই গাড়ি। এটি একটি হ্যাচব্যাক।
ভারতের আরও একটি জ্বালানি সাশ্রয় গাড়ির নাম যদি করতে বলা হয় তবে সেটা অবশ্যই হবে Hyundai এর Grand i10 Nios। প্রতি লিটারে এই গাড়িটি 26.2 কিলোমিটারের মাইলেজ (Mileage) পাওয়া যায়। শুধু মাইলেজ নয় এই গাড়িটি ক্রেতাদের এত পছন্দ কারণ এই লুকস। দারুন দেখতে এই গাড়িটিকে। ভারতের গাড়ির বাজারে এই গাড়ির ভাল চাহিদা আছে। অন্যতম সেরা বিক্রিত গাড়ির মধ্যে এই হ্যাচব্যাক (hatchback) রয়েছে।
আরও একটি ভাল মাইলেজ যুক্ত গাড়ি হচ্ছে Tata Altroz। এই গাড়ি আপনাকে প্রতি লিটারে 26 কিলোমটারের মাইলেজ দেবে। এই গাড়িতে ভাল মাইলেজের সঙ্গে আছে দারুন সুরক্ষা ব্যবস্থা। দারুন সব যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা আছে গাড়িতে। বর্তমানে অন্যতম সেরা মাইলেজ যুক্ত গাড়ি হচ্ছে Tata Altroz। এখন এই গাড়িটির বিক্রিও এখন অনেকটাই বেড়েছে। বছরের এই গাড়ির সংখ্যায় অনেক কটা এখন বিক্রি হয়।
যেমন মাইলেজের নাম করলে দেশে মারুতি এর নাম ওঠে, তেমনই সুরক্ষার কথা বললে Tata এর গাড়ির কথাই মাথায় আসে। অটো সাইটগুলোর রিপোর্ট অনুযায়ী একটা সময় অবধি মারুতি এর একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ভারতের গাড়ির বাজারে। তবে এখন টাটা ছোট গাড়ি বানানো শুরু করতে তাকে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। মাইলেজের পাশাপাশি tata সুরক্ষার দিকেও নজর রাখছে। বর্তমানে tata এর অধিকাংশ গাড়ি Global NCAP রেটিংয়ে 4 স্টার পাচ্ছে। এর ফলে অনেকেই সুরক্ষার কথা ভেবে এই গাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকছে। ফলে বাড়ছে গাড়ির বিক্রি।