দিন দিন Cyber Crime -এর ঘটনা বেড়েই চলেছে। কখনও ফিশিং লিংক দিয়ে, কখনও পাসওয়ার্ড হ্যাক করে তো কখনও অন্য কোনও উপায়ে। প্রতারকরা যতই বুদ্ধিমান হোক আপনাকে কিন্তু তাঁকে মাত দিতেই হবে নিজের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য। ফলে সহজ সাধারণ কিছু কখনই পাসওয়ার্ড হিসেবে দেবেন না। চেষ্টা করুন কঠিন, এবং জটিল পাসওয়ার্ড দেওয়ার যাতে জালিয়াতরা সেটা ভাঙতে না পারে। নিজের নাম, জন্মদিন নয়, বরং পাসওয়ার্ড কী দিলে ভালো হবে দেখুন। পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় কোন জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটাও জেনে নিন।
হামেশাই ব্যাংক ফ্রড হচ্ছে। অনলাইন লেনদেনের কারণে হ্যাকাররা ওত পেতে থাকছে মানুষকে হাতিয়ে নেওয়ার। তাই পাসওয়ার্ডে একটু গন্ডগোল হলেই কিন্তু তাদের পোয়া বারো! আবার অনেক সময় তারা একটি ভুয়ো মেলের সঙ্গে ফিশিং লিংক জুড়ে দেয়। আর গ্রাহকরা সেই লিংকে না বুঝে ক্লিক করলেই ঘটে যায় অনর্থ! ব্যাংকে থাকা অর্থ তো বেহাত হয়ই, সঙ্গে চলে যায় বহু তথ্যও। তাই জেনে নিন State Bank of India শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য কী কী টিপস দিল।
পাসওয়ার্ড দেওয়ার সংকট আপার এবং লোয়ারকেস অ্যালফাবেট ব্যবহার করবেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে: Ta2bjkKKlm
তবে শুধু নম্বর এবং অ্যালফাবেট নয়, সঙ্গে দিন সিম্বল। যেমন: Ta@2bj7#KK&lb
পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় চেষ্টা করুন যাতে অন্তত 8টা সংখ্যক অ্যালফাবেট দেওয়া যায়।
পারলে ইমোজি দিতে পারেন পাসওয়ার্ড, সহজ যা মনে রাখা যায় তার থেকে এটা কিন্তু ভালো। ধরা যাক: Ta2bj7:/KKlb:)
পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য অতি সহজ 123456 বা abcde একদমই দেবেন না। এতে সহজে হ্যাক হওয়ার ভয় থাকে।
মনের ভুলেও এমন কোনও পাসওয়ার্ড দেবেন না। মনে রাখবেন আপনি একা কোডিং পারেন আর হ্যাকাররা পারে না সেটা কিন্তু নয়! যেমন: DOORBELL এর জায়গায় DOOR 8377
নিজের জন্ম সাল, দিন, নাম, মা বাবার নাম ইত্যাদিও দেবেন না পাসওয়ার্ড হিসেবে।
এছাড়া যেটা মনে রাখবেন কোনও ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাপ দাউদ করতে হলে ভালো করে রিভিউ পড়ুন, বুঝে তারপর ডাউনলোড করুন। সতর্ক থাকুন সর্বদা। কোনও অজানা লিংকে ভুলেও ক্লিক করবেন না। বা যদি বলে যে ব্যাংক থেকে বলছি, আপনার KYC আপডেট করতে হবে। একদম বিশ্বাস করবেন না। উল্টে ব্যাংকে যোগাযোগ করুন।