Sports Bike এর একটি আলাদা রকমের চাহিদা আছে তরুণ প্রজন্মের কাছে। সঙ্গে উন্মাদনাও। এই বাইকে যে লুক বা ডিজাইন মেলে, তার সঙ্গে যে হাই স্পিড গতি থাকে সেটা দেখেই অনেকে আকৃষ্ট হন এই বাইকগুলো প্রতি। তবে কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছে থাকলেও সাধ পূরণ করা যায় না। আর সাধ পূরণ না করতে পারার মূল কারণ হচ্ছে বাইকগুলোর দাম।
স্পোর্টস বাইক বিভাগের অন্যতম জনপ্রিয় বাইক হচ্ছে Bajaj Pulsar NS 125। একজন গ্রাহক একটি স্পোর্টস বাইক থেকে যে যে ফিচার আশা করেন সেই সমস্ত ফিচার, থেকে গুণাবলী সব আছে Bajaj Auto এর এই বাইকে। ফলে গ্রাহকরা এই বাইকটিকে বেশ পছন্দই করেন। এতে যেমন একদিকে দারুন মাইলেজ মেলে, তেমনই এর গতি এবং স্টাইল। সর্বোপরি এই বাইকের দাম অন্যান্য স্পোর্টস বাইকের তুলনায় অনেকটাই কম। ফলে ওই সোনায় সোহাগা ব্যাপার আর কী! এই স্পোর্টস বাইকের সমকক্ষ আপাতত খুঁজে পাওয়া বেশ চাপের বিষয়। এই বাইকের দাম ভারতে শুরু হচ্ছে 1,04,371 টাকা থেকে, এটি এক্স শোরুম দাম। আর এই বাইকের অন রোড দাম হচ্ছে, 1,22,308 টাকা। Bajaj Pulsar NS 125 যখন প্রথম ভারতে লঞ্চ করে তখন এর কেবল একটিই ভ্যারিয়েন্ট ছিল।
তবে এই সস্তার স্পোর্টস বাইক এখন আরও সস্তা হয়ে গিয়েছে। আপনি যা ভাবছেন তার থেকেও কম দামে পেতে পারেন এটিকে। তবে হ্যাঁ, সস্তায় ভাল জিনিস পেতে চাইলে কিছু নিয়ম তো মানতেই হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সস্তায় Bajaj Pulsar NS 125 কিনতে চাইলে কোন জিনিস আপনাকে মানতে হবে।
দেখুন, এটা একটা শিশুও বুঝবে যে এক লাখ টাকা যে বাইকটির দাম সেটা আপনি কখনই একবারে 11,000 টাকায় পাবেন না। তাহলে? ব্যাংক অফার বা ফাইন্যান্স থাকলে এই অবাস্তব বিষয়টি বাস্তব করা যায়। 11,000 টাকা আপনি ডাউন পেমেন্ট হিসেবে দিলে আপনি এই বাইক এত সস্তায় পেয়ে যাবেন। আর বাকি টাকাটা আপনাকে ইএমআই হিসেবে দিতে হবে।
কিন্তু এতদূর দেখে নিশ্চয় ভাবছেন যে কী করে ব্যাংক লোন পাবেন এই বাইকের জন্য? তাহলে বিস্তারিত ভাবে জানাই, অনলাইনের ডাউন পেমেন্ট, EMI ক্যালকুলেটর বিচার করে ব্যাংক আপনাকে 1,11,308 টাকা লোন দেবে। আর এটার জন্য আপনাকে প্রতি মাসে 9.7% সুধ দিতে হবে। ফলে আপনি রাজি থাকলে এই লোন পেয়ে যাবেন, আর প্রতি মাসে সুদ দিতে থাকবেন তাহলে হয়ে যাবে। আর বাইক কেনার সময় তখন 11,000টাকা দিলেই বাইক আপনার। মানে এই 11,000 টাকার ডাউন পেমেন্ট করতেই হবে। একবার আপনার ব্যাংকের লোন স্যানকশন হয়ে গেলে, আপনাকে প্রতি মাসে 3,576টাকা করে দিতে হবে EMI এর জন্য। টানা তিন বছর আপনার এই EMI চলবে।
Bajaj Pulsar NS 125 বাইকে গ্রাহকরা পাবেন 124.45 সিসির ইঞ্জিন, যেখানে প্রতি লিটারে 49 কিলোমিটারের মাইলেজ মিলবে। এই বাইকের কার্ব ওজন 144 কেজি। 12 লিটারের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি আছে এই স্পোর্টস বাইকে। 588 কিলোমিটার হচ্ছে এই বাইকের রেঞ্জ, 805 মিমি উচ্চতার সিট রয়েছে এই বাইকে। 5স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন উপলব্ধ আছে সঙ্গে এই বাইক 8500rpm এ 11.8 bhp পাওয়ার এবং 7000rpm এ 11nm টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।