একদিকে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমশ সাধারণ মানুষের রেঞ্জের বাইরে চলে যাচ্ছে, অপরদিকে গত কয়েকবছরে, বিশেষত কোভিড পিরিয়ডে অসংখ্য কোম্পানি ইলেকট্রিক গাড়ি(EV) লঞ্চ করেছে। ইলেকট্রিক গাড়ির হাইপ ইতিমধ্যেই বিশাল রকমের বেড়ে গেছে। কিন্তু এই ধরনের গাড়ি কতটা সফল হতে পারে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। এর মধ্যেই নতুন বছরের বাজেটে কী ঘোষণা করা হবে তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে। এক কথায় ইলেকট্রিক গাড়ির আসল টেস্ট এবার শুরু হতে চলেছে।
গত বছরের বাজেটে দেশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আগামী 5 বছরের উৎপাদন এর জন্য সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির তরফ থেকে এবারের বাজেটে ছোট ও মাঝারি কোম্পানিগুলিকেও এতে ইনক্লুড করার কথা জানানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তাদের মতে, এতে বিদেশি কোম্পানির উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমবে এবং দেশীয় প্রোডাক্টের উপর দেশের মানুষের আস্থা ফিরবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউজ করা গাড়ির জিএসটির হার কমানোর আবেদনও করা হবে এই বাজেটে।
তবে সকলেরই মেন ফোকাস ইলেকট্রিক গাড়ির উপর। বাজেটে এই গাড়ির সম্পর্কে কী বলা হবে তার দিকেই তাকিয়ে ছোট-বড় কোম্পানিগুলি। ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় পক্ষই পজিটিভ ভাবে এগিয়েছে। তবে, গাড়ির যন্ত্র থেকে শুরু করে ইনফ্রাস্ট্রাকচার সব কিছুরই কাজ এখনও অনেক বাকি।
এছাড়াও, এই গাড়ি গুলির দাম বর্তমানে সাধারণ মানুষের রেঞ্জের বাইরে। বাজেটের মধ্যে আনাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ এই ধরনের গাড়ির কোম্পানিগুলির। এর পাশাপাশি, অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি CNG ও অন্যান্য গ্যাস চালিত গাড়ি নিয়েও বাজেটে কী বলবে তার অপেক্ষায় রয়েছে
ইতিমধ্যেই Tesla এর মতো বিদেশের বড় কোম্পানিগুলি ভারতীয় সরকারের কাছে ইম্পোর্ট ট্যাক্স কমানোর জন্য আবেদন করেছে। এই আবেদন মানা হলে বিদেশি কোম্পানিদের জন্য ভারতীয় সরকার বিপুল সুবিধা করে দেবে এবং দেশীয় কোম্পানিগুলির এতে ক্ষতি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ফলে কি ডিসিশন নেবেন ভারতীয় সরকার এবারের বাজেটে তারউপর গোটা অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।