Tesla একাই এখন চালকবিহীন গাড়ির বাজারে রাজত্ব করছে। আর সেই বাজারে ভাগ বসানোর কথা দীর্ঘ 8 বছর আগে Apple ঘোষণা করেছিল। তখনই প্রকাশ্যে এসেছিল অ্যাপেলের এই প্রজেক্টের কথা। তখন থেকেই অ্যাপেল এই প্রজেক্টে কাজ করতে আরম্ভ করে। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও এই গাড়ি অদূর ভবিষ্যতে বাজারে আসবে বলে মনে হয় না। অন্তত সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট সেই কথাই বলছে। স্টিভ জবস (Steve jobs) মারা যাওয়ার পর থেকেই এই বিষয় নিয়ে জল্পনা বাড়তে শুরু করে। তাঁর মৃত্যুর পর এই বিষয়ে জল্পনার ডালপালা আরও ছড়ায়। বহুদিন ধরে Project Titan নাম নিয়ে এই কাজ চললেও আবারও তা ধাক্কা খেল। খুব সম্প্রতি এই প্রজেক্ট আবারও প্রশ্নের মুখে পড়ল।
Automatic Driverless গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ করা হয় সিলিকন ভ্যালিতে। সেখানেই পরীক্ষার জন্য অ্যাপেলের তরফে এই গাড়িকে রাস্তায় নামানো হয়েছিল। তখন নানান সমস্যার মধ্যে পড়ে এই গাড়ি। এমনকি সাধারণ লেন বদল করার সময়ও এই গাড়ির বারংবার সমস্যার মধ্যে পড়ে। শুধু তাই নয়, এক ব্যক্তি যখন রাস্তা পার করছিলেন তখন গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা অবধি মেরে দেয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে। অথচ সেই ব্যক্তির কোনও দোষ ছিল না। তিনি সব নিয়ম মেনেই পার হচ্ছিলেন। বর্তমানে এই সংস্থার কর্মীদের মধ্যে বিশ্বাস এবং কনফিডেন্সের অভাব দেখা দিচ্ছে। যার ফলে গোটা প্রজেক্ট নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
টিম কুক গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন অ্যাপেলের এই গাড়িটি এক দারুন এবং আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট হতে চলেছে। চালকহীন গাড়ি অর্থাৎ সেটি একটি রোবট। আর এখানে তাই নানান প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। এবং সেটা নিয়ে কাজও করার দরকার আছে বলে তিনি জানান। তিনি জানিয়েছিলেন অ্যাপেল গোটা বিষয়টি দেখছে।
2016 সালে প্রথমবারের জন্য মার্কিন টেক সংস্থা Apple এর এই চালকবিহীন গাড়ির কথা প্রকাশ্যে এনেছিল। কিন্তু গত বছর 2021 সালে এই গাড়ি তৈরি প্রজেক্ট থেকে কর্মীদের ছাঁটাই করতে শুরু করে সংস্থাটি। তবে শুধু অ্যাপল নয় সমস্ত নামী ব্র্যান্ড বর্তমানে এই চালক বিহীন গাড়ি আনার কথা ভাবছে এবং সেই বিষয়ে কাজও করছে। তারা সকলেই এই চালকহীন গাড়ি তৈরির প্রযুক্তি ডেভেলপ করতে ব্যস্ত। Waymo, একটি Google এর সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থা San Francisco শহরে রবোট্যাক্সির সার্ভিস শুরু করেছিল।
বর্তমান সময়ে এই ধরনের, অর্থাৎ চালকহীন গাড়ি তৈরির ব্যাপারে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে টেসলা। দীর্ঘ গবেষণার দারুন ফল পেয়েছে এই সংস্থাটি। ফলে Elon Musk এর কোম্পানি এই বিষয়ে সফল সেটা বলা যায়। গ্রাহকদের মধ্যে এই কোম্পানির অটো পাইলট মোড বেশ জনপ্রিয়।