পৃথিবীর আকাশে রাতের অন্ধকারের এই রহস্য ময় আলো আসলে কী জানেন?

Updated on 12-Nov-2018
HIGHLIGHTS

নাসার সাইট থেকে জানা গেছে জে পৃথিবীর প্রান্তে এইর এই কমলা আলোর ঝলকানিকে ‘এয়ারগ্লো’ বলা হয়

নাসার তোলা বিভিন্ন ছবি প্রায়ই আমাদের কাছে নতুন তথ্য বা নতুন নতুন সব খবর দেয়। অনেক খবরের পড়তে পড়তে থাকে রহস্যের হাতছানি আবার কোন কোন সময়ে দেখা যায় যে সত্যি এই মহাবিশ্বের বেশিরভাগটাই আজও অজানা আমাদের কাছে। আর এই জানা-অজানার কাহিনীর অনেকটাই অনেক সময়ে জরিয়ে থাকে আমাদের পৃথিবীকে নিয়ে। আর সম্প্রতি আরও একবার রহস্যের আড়ালে পাওয়া গেল এমনই এক দারুন চমকপ্রদ খবর।

সম্প্রতি নাসার তোলা এক ছবিতে দেখা গেছে মহাকাশের গভীর কালো বুকে পৃথিবীর এক আশ্চর্য ছবি, যেখানে আকাশে রঙের খেলা দেখা গেছে। এই আলো দেখে যেমন মুগ্ধ মন বিহ্বহল হয়ে ওঠে তেমনি পৃথিবীর প্রান্ত ছুঁয়ে থাকা এই সোনালি রহস্যময় আলো দেখে মনে একটু হলেও ভয়ও যেন উঁকি মারে। আমাদের প্রিয় পৃথিবীর এযেন এক অন্য রূপ।

তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি মায়াবী এই সোনালি আলো ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। নাসার ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে যে গত 7 অক্টোবর এই ছবিটি তীলা হয়েছে। ইন্টারন্যাশানাল স্পেস স্টেশান থেকে একজন মহাকাশচারী এই ছবিটি তোলেন, এটি অস্ট্রেলিয়ার আড়াইশো মেইল ওপর থেকে তোলা ছবি।

নাসার সাইট থেকে আরও জানা গেছে জে পৃথিবীর প্রান্তে এইর এই কমলা আলোর ঝলকানিকে ‘এয়ারগ্লো’ বলা হয়। কিন্তু আসলে এই আলো কী? কেনই বা দেখা যায় এই আলো?

নাসার এই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে জে যখন বিভিন্ন অণু( বেশিরভাগই নাইট্রোজেন আর অক্সিজেন) সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে । আর এদের মধ্যে জমে থাকা ‘এনার্জি’ মুক্ত করার জন্য নিচের আবহাওয়া মন্ডলে থাকা অণু গুলি একে অপরের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর এই জোরালো ধাক্কার ফলে ‘এনার্জি’ গুলির মুক্তি ঘটে। আর এর প্রভাবেই তৈরি হয় এই ‘এয়ারগ্লো’। আর এই আলো সব থেকে বেশি বোঝা যায় রাতের অন্ধকারে।

আর এয়ারগ্লো যে বিজ্ঞানীদের কত সাহায্য করে তাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে যে এর জন্য পৃথিবী আর মহাকাশের মধ্যবর্তী অংশে পদার্থের যে সব কণা থাকে তাদের চলাচল বোঝা যায়। আর এর ফলে বিজ্ঞানীরা মহাকাশের আবহাওয়া আর পৃথিবীর আবহাওয়ার ভেতরের সম্পর্ক নিরীক্ষণ করতে পারেন।

নোটঃ ফিচার্ড ছবিটি নাসার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া।

Connect On :