2022 সাল সাক্ষী থাকল আরও একটি পরিবর্তনের, আরও একটি নতুন সূচনার। অক্টোবর মাসে ভারতে চালু হয়েছে 5G পরিষেবা। ইতিমধ্যেই Airtel, Jio ভারতের একাধিক শহরে এই পরিষেবা চালু করে দিয়েছে। আপাতত নির্দিষ্ট কিছু বড় শহরেই এই 5G পরিষেবা মিলছে, তবে টেলিকম সংস্থাগুলো জানিয়েছে তাদের গোটা দেশজুড়ে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে আরও 2 থেকে 3 বছর সময় লেগে যাবে। 5G এর ধামাকা এখনও কাটেনি আর তার মধ্যেই আলোচনায় উঠে এল 6G এর কথা। 2030 সালের মধ্যেই নাকি চালু হবে 6G।
বিশ্বের নানান দেশে ইতিমধ্যেই 6G পরিষেবা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালু হয়ে গিয়েছে। চিন আপাতত অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে আছে। ZTE, একটি চিনা কোম্পানি জানিয়েছে তারা আপাতত 1 মিলিয়ন গিগাবিট গতির সন্ধানে 6G নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে। নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে চায় তারা এই প্রযুক্তিতে। এমনটাই জানানো হয়েছে সেই সংস্থার তরফে।
2022 সালে 16 বিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে ZTE স্রেফ 6G পরিষেবা নিয়ে গবেষণা করার জন্য। এমনটাই জানা গিয়েছে রিপোর্ট থেকে। এই কোম্পানির এখন যে অপারেটিং ইনকাম তার 17% হচ্ছে এই অর্থ যা 6G পরিষেবার গবেষণার খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে। 6G আগামী দিনে একটি ব্যাপক নেটওয়ার্ক তৈরি করবে মোবাইলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে। যদিও এখনও এই গবেষণার বিষয়টা পুরোটাই প্রাথমিক পর্যায় আছে। ZTE এর মতে তাদের এখন একটাই লক্ষ্য সেটা হল বিশ্বকে 6G পরিষেবার ক্ষেত্রে দিশা দেখানো। R অ্যান্ড D ইতিমধ্যেই করা হয়ে গিয়েছে এই সংস্থার। 10% অপারেটিং ইনকাম গবেষণা এবং উন্নয়ন খাতে ব্যবহা করছে এই সংস্থা।
আর অপেক্ষা স্রেফ 8 বছরের, তারপরেই 2030 সালে শুরু হয়ে যাবে 6G পরিষেবা। তবে ZTE একাই এই বিষয় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে এমনটা নয়। আরও একাধিক সংস্থা এই বিষয়ে গবেষণা চালু করেছে। LG কোম্পানি এই বিষয়ে সাফল্য পেয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সংস্থা আপাতত একাধিক রেঞ্জের ডেটার ওয়্যারলেস ট্রান্সমিশন পরীক্ষা করে দেখছে। এর মধ্যে আছে 320 মিটার দূর থেকে 155 এবং 175 গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জ 6G টেরাহার্টজ পরীক্ষা করছে।