Aadhaar Card ভারতীয়দের জন্য ভীষণই জরুরি একটি নথি। পরিচয় পত্র হোক বা যে কোনও অফিসিয়াল কাজ কর্ম সবেতেই আধার কার্ড প্রয়োজন হয়। কিন্তু এমন অবস্থায় কি আপনার আধার কার্ডের বয়স কি 10 বছর পেরিয়ে গিয়েছে? আর গোটা এক দশকে কি আপনি আপনার এই জরুরি নথিটিকে একবারের জন্য আপডেট করেননি? তাহলে কিন্তু আপনার এই নথি বাতিল হয়ে যেতে পরে। ইতিমধ্যেই এই আধার বাতিলের কাজ শুরুও করে দিয়েছে UIDAI বা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। এছাড়া অনেকেরই আধার কার্ড অবৈধ ভাবে তৈরি করা হয়েছে। ফলে আপডেট না করালে এবং এই অবৈধ কার্ড বাতিল করার জন্য UIDAI কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনার আধার কার্ড যদি আপডেট করা না হয়ে থাকে বা E-KYC না করিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে UIDAI আধার সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে এটিকে আপডেট করিয়ে নিতে হবে। কারণ এটি এখন বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে।
UIDAI -এর NCR গাজিয়াবাদ আধার সার্ভিস সেন্টারের ইন চার্জ নিসু শুক্লা নিউজ 18কে জানিয়েছেন যে আধার কার্ড মডিফিকেশন করতে হলে এখনই E-KYC করিয়ে নিতে হবে। তাঁর মতে এখনও অনেক মানুষ তাঁর ফোন নম্বর সহ অ্যাড্রেস, ইত্যাদি আধার কার্ডে যোগ করেননি বা আপডেট করেননি। ফলে যাঁদের আধার কার্ডের অবস্থা এমন তাদের E-KYC করতেই করতে হবে।
মাত্র 50 টাকার বিনিময়ে E-KYC আপডেট করিয়ে নেওয়া যাবে। যাঁরা এই E-KYC করাতে চান তাঁদের প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, ইউটিলিটি বিল, পাসপোর্ট, ইত্যাদি নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। এবার ধরুন আপনি থাকেন এখন দিল্লিতে কিন্তু আপনি আদতে বাসিন্দা কলকাতার। আর আপনি আপনার বর্তমান ঠিকানাকে আধার ঠিকানা করতে চান তাহলে আপনাকে পুরনো ঠিকানার যত ডকুমেন্ট আছে সব জমা দিতে হবে।
তবে যতই নিশু শুক্লা গাজিয়াবাদের কথা বলুন না কেন এই নিয়ম কিন্তু গোটা দেশের জন্যই লাগু হয়েছে। ফলে 10 বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য আপডেট না করান আপনার আধার কার্ড তাহলে ঝটপট এর মধ্যে গিয়েই বাড়ির কাছে যে আধার সেবা কেন্দ্র আছে সেখানে গিয়ে এটি আপডেট করিয়ে নিন। মাত্র 2-3 মিনিটের মধ্যেই আপনার এই কাজ হয়ে যাবে।
Aadhaar Number বা এনরোলমেন্ট স্লিপ থাকবে না যাঁদের তাঁরা আর কোনও রকম সরকারি সুবিধা পাবেন না বলেই UIDAI -এর তরফে গত বছর জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে আপনি সরকারি ভর্তুকি পেতে চাইলে এটা প্রয়োজনীয়। তাই আপনার কাছে যদি আধার নম্বর না থাকে তাহলে কিন্তু আপনার এই সমস্ত সুবিধা পেতে সমস্যা হতে পারে। এমনই সার্কুলার কিন্তু সমস্ত রাজ্যের কাছে পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।