Cinema Hallএ মুক্তি পেয়েছিল একাধিক ছবি। প্রচার কিছু কম হয়নি। সাড়ম্বরেই আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছিল তারা। কিন্তু হলে গাঁটের কড়ি খরচ করে নামমাত্র দর্শক সেটা দেখতে গিয়েছিল। ফলে, সিনেমা হলে ব্যবসা মোটেই করতে পারেনি এই ছবিগুলো। বক্স অফিসে জুটেছিল ফ্লপের তকমা! কিন্তু OTT তে মুক্তি পেতেই ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল অবস্থা হল! ডিজিটাল মিডিয়ায় মুক্তি পেতেই হিট করে গেল ছবি। কোনও একটা ছবি নয়, একাধিক ছবির ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেছে।
কোন ছবিগুলোর এমন হাল হয়েছিল যদি বলেন, তাহলে সবার আগে নাম করতে হবে কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) অভিনীত ছবি ধকড় এর। ছবিটি বেশ বড় বাজেটের ছিল, কিন্তু বক্স অফিসে কার্যত ভরাডুবি হয়েছিল এই ছবির। এই ছবিটি বোধহয় কঙ্গনার জীবনের সব থেকে খারাপ পারফরমেন্স করা ছবি। সুপার ফ্লপ যাকে বলে আর কি! কিন্তু যেই এই ছবি OTT তে মুক্তি পেল অমনি বদলে গেল ছবিটা। ডিজিটাল মিডিয়ায় এর মধ্যেই ছবিটি 60 মিলিয়ন মিনিট ভিউজ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কত মানুষ এই ছবিটি দেখেছেন OTT তে সেটা সহজেই বোঝা যাচ্ছে।
তবে কঙ্গনার ছবি একা নয়। তালিকায় আছে জন আব্রাহামের (John Abraham) ছবি অ্যাটাক। এছাড়া আছে আদিত্য রায় কাপুরের (Aditya Roy Kapur) রাষ্ট্র কবচ ওম ছবিটি। এই ছবি দুটি কবে যে হলে মুক্তি পেল আর কবেই যে সেটা হল থেকে চলে গেল বোঝাই গেল না। কিন্তু যেই ছবিগুলো ওটিটিতে মুক্তি পেল অমনি বহু দর্শক সেই ছবিগুলো দেখে নিল।
গোটা বিষয়টায় Zee 5এর কর্ণধার মণীশ কারলার জানিয়েছেন তাঁদের এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে RRR, ধকড়, অ্যাটাক প্রতিটা ছবিই দারুন ফল করেছে। এছাড়াও তিনি বিদ্যুৎ জামালের (Vidyut Jammwal) ছবি খুদা হাফিজ প্রসঙ্গে জানান যে এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই 77 মিলিয়ন ভিউয়িং মিনিট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এই ছবিটির বাজেট ছিল 30 কোটি টাকা কিন্তু বক্স অফিসে আয় করেছিল মাত্র 14 কোটি।
কিন্তু এই বিষয়ে ট্রেড অ্যানালিস্ট অতুল মোহন জানান ভিউয়িং মিনিট দেখে এটা মোটেই বোঝা যায় না যে কতজন আসলে ছবিটি দেখেছেন। এমনটা হতেই পারে কেউ কেউ ছবিটি 10-15 মিনিট দেখেছেন মাত্র। তবে হ্যাঁ এটা ঠিক যে করোনার পরে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বদলে OTTতে ছবি দেখার হিড়িক অনেকটাই বেড়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে 100 টাকা দিয়ে মানুষ যেখানে 100 টি ছবি দেখতে পাচ্ছেন সেখানে তাঁরা কেন 200 টাকা খরচ করে হলে যাবে?