৩০ বছর ধরে টানা সফলতা তবে কেন ব্যার্থ হল ইসরো!
রক্ষাকবচই রক্ষা করতে পারলনা এবার
মাটি ছেড়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ‘সীমানা’ ভালয় ভালয় পেরনোর জন্য বেসরকারি উপগ্রহ ‘আইআরএনএসএস-ওয়ান-এইচ’-এর যা ছিল রক্ষাকবচ, ইসরোর ২৪ বছরের রকেট পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের (পিএসএলভি) সেই ‘হিট শিল্ড’ গত ৩১ অগস্ট উৎক্ষেপণের পর যে সময়ের মধ্যে খুলে যাওয়ার কথা, খোলেনি। তাই ইসরোর বানানো সেই পিএসএলভি সি-৩৯ রকেট সে দিন ব্যর্থ হয়েছিল দেশের প্রথম বেসরকারি উপগ্রহটিকে মহাকাশে পাঠাতে।
এই সবের মাঝেই প্রশ্ন উঠেছে জে এই কাজট আকি হিট শিল্ডের? কিন্তু তার আগে জানা দরকার এই হিট শিল্ড কি আর তা কোন কাজে লাগে.
এই বিষয়ে ইসরোর এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন যে, ‘‘পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধা পেরিয়ে কোনও উপগ্রহকে কক্ষপথে বসিয়ে দেওয়ার সময় তার চার পাশে প্রচুর তাপশক্তির জন্ম হয়। বায়ুমণ্ডল ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রকেটের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের ঘর্ষণের (ফ্রিকশন) জন্য। হিট শিল্ডের বর্ম না থাকলে সেই প্রচণ্ড তাপশক্তিতে রকেট, উপগ্রহ সবকিছুই জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যেতে পারে। তার হাত থেকেই রকেট ও উপগ্রহকে বাঁচায় হিট শিল্ড।’’
এর আগে ১৯৯৭ সালে সালে উৎক্ষেপণের সময় আংশিক ভাবে ব্যর্থ হওয়ার পর এই সে দিন, ৩১ অগস্টের আগে আর কখনও ব্যর্থ হয়নি পিএসএলভি রকেট।
এবারের ব্যার্থতার কারন হিসাবে ইসরো জানায় যে, ওই হিট শিল্ড খুলে বেরতে না পারার জন্য সে দিন আরও এক টন ওজন বেড়ে গিয়েছিল বেসরকারি উপগ্রহটির। কিন্তু অতটা ওজনের পিছুটান থাকলে ‘আইআরএনএসএস-ওয়ান-এইচ’-এর মতো উপগ্রহের পক্ষে নিরাপদে মহাকাসে পৌঁছনো সম্ভব নয়। কারণ, বাহন রকেট পিএসএলভি’কে পিছনে রেখে তাকে ছেড়ে মহাকাশে পাড়ি জমাতে হলে উপগ্রহটির পৌঁছনো উচিত ছিল প্রতি সেকেন্ডে সাড়ে ৯ কিলোমিটার গতিবেগে। কিন্তু তার কাঁধে ওজনের বাড়তি বোঝা চেপে যাওয়ায় ওই উপগ্রহটির পক্ষে সেকেন্ডে সাড়ে ৮ কিলোমিটার গতিবেগের বেশি পৌঁছনো সম্ভব ছিল না। ইসরো সূত্রের খবর, ওই পরিস্থিতির জন্যই সে দিন সফল হয়নি উৎক্ষেপণ।