Patriotic Films: স্বাধীনতার আগে কিছু সেরা দেশাত্মবোধ বাংলা ছবির তালিকা দেখে নিন

Updated on 11-Aug-2022
HIGHLIGHTS

আর কিছুদিন পরেই পালিত হবে ভারতের 76 তম স্বাধীনতা দিবস, দেশ জুড়ে চলছে তোড়জোড়

আজাদি কা অমৃত মহোৎসব থেকে হর ঘর তিরঙ্গা অভিযান সহ একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

দেশপ্রেমের আবেগে ভাসতে দেখে নিন কিছু সেরা বাংলা ছবি, রাজকাহিনী থেকে বিয়াল্লিশ

আর কিছুদিন বাদেই ভারত তার 76তম স্বাধীনতা দিবস পালন করবে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড়। তার আগেই দেখে নিন কিছু সেরা বাংলা দেশাত্মবোধক সিনেমা। রইল তালিকা- 

মহাবিপ্লবী অরবিন্দ (1971)

ঋষি অরবিন্দর (Aurobindo Ghosh) জীবনী এবং তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে এই সিনেমাটি 1971 সালে তৈরি করা হয়েছিল। তাঁর জন্ম থেকে শুরু করে 1910 সাল পর্যন্ত পডুচেরি তাঁর জীবন কেমন ছিল সবটা ধরা পড়েছিল এই ছবিতে। তাঁর বিয়ে, সিস্টার নিবেদিতার (Sister Nivedita) সঙ্গে সম্পর্ক থেকে শুরু করে যুগান্তর, আলিপুর বম্ব ব্লাস্ট কেস, সহ অরবিন্দের গোটা জীবনটাই এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল। 

সুভাষচন্দ্র (1966)

এই ছবিটিকে মনে হয় নেতাজির (Netaji Subhash Chandra Bose) জীবনের উপর নির্মিত অন্যতম সেরা ছবি। এই ছবিতে তাঁর জন্ম, ছেলেবেলা, কলেজ জীবন থেকে শুরু করে আইসিএস পরীক্ষা পাস, রাজনীতি থেকে অ্যারেস্ট হওয়া সব কিছুই দেখানো হয়েছে। 

আনন্দমঠ (1951)

18 শতকের  সন্ন্যাসী বিদ্রোহের উপর ভিত্তি করে এই ছবিটি তৈরি হয়েছিল। সতীশ দাশগুপ্ত নির্মিত এই ছবিটি 1951 সালে মুক্তি পেয়েছিল। ফিরিয়ে দিয়েছিল সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশটিকে এই দীর্ঘ  200 বছরের দগদগে ইতিহাসের স্মৃতি, উস্কে দিয়েছিল দেশাত্মবোধ। 

বিয়াল্লিশ (1951)

1942 এর অশান্ত সময়টিকে এই ছবিতে নিখুঁত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তখন ভারত ছাড়ো আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। ব্রিটিশ পুলিশের ভূমিকায় বিকাশ রায় (Bikash Roy) অভিনয় করেছিলেন। তাঁর সেই দুর্ধর্ষ অভিনয় দর্শকদের এতটাই আবেগতাড়িত করেছিল যে তাঁর প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছিল। বাংলা ছবির ইতিহাসে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন তৈরি হওয়া অন্যতম সেরা ছবি এটি। 

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন (1949)

চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুঠ করার যে ব্লু প্রিন্ট মাস্টারদা তৈরি করেছিলেন তারপর যে ঘটনার সাক্ষী গোটা দেশ থেকেছিল সেটাই এই ছবি উঠে আসে। 

সব্যসাচী

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Sarat Chandra Chattopadhyay) উপন্যাস পথের দাবী অবলম্বনে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল 1951 সালে। পীযুষ বোস (Piyush Bose) এই ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন। মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল উত্তম কুমারকে (Uttam Kumar)। 

দেবী চৌধুরানী

বঙ্কিচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের (Bankim Chandra Chattopadhyay) উপন্যাস দেবী চৌধুরানী অবলম্বনে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল 1974 সালে। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুচিত্রা সেন (suchitra Sen)। এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একজন সাধারণ বাঙালি ঘরে মেয়ে কী করে ব্রিটিশদের ত্রাস হয়ে উঠেছিল। 

রাজকাহিনী

সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherji) অন্যতম সেরা ছবি এটি। দেশভাগের এক অন্য ছবি ধরা পড়েছিল এই ছবিটিতে। এই ছবিতে দেখা গিয়েছিল একদল পতিতা তাঁদের পতিতালয় ছাড়তে চান না। Radcliff লাইন তাঁদের সেই পতিতালয়ের উপর দিয়ে গিয়েছিল, সেই বাড়ি ভেঙে ফেলার কথা বলা হলে তাঁরা অসম্মত হন। লড়াই চালান শেষ পর্যন্ত। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত Rituparna Sengupta), পার্নো মিত্র (parno Mitra), রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh), আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), প্রমুখ। 

আবার আসব ফিরে

এই ছবিটির পরিচালক ছিলেন রবি ওঝা (Ravi Ojha)। রোমান্টিসিজমের মোড়কে তিনি সে সময়ের ইতিহাসকে তুলে ধরেছিলেন। ছবিতে খুব সুন্দর করে স্বাধীনতার যুদ্ধকে দেখানো হয়েছিল। অভিনয় করেছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) এবং কনীনিকা বন্দোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। 

ফেরারি ফৌজ

এই ছবিটি তৈরি হয়েছিল উৎপল দত্তের (Utpal Dutta ) একটি নাটকের উপর ভিত্তি করে। পরিচালনা করেছিলেন প্রশান্ত বল। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty), দেবশ্রী রায় (Debashree Roy), সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Soumitra Chatterjee), প্রমুখকে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়। এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল একদল বিপ্লবীর দেশের জন্য যুদ্ধ এবং আত্মবলিদানের কথা।

8/12

এই ছবিটি তৈরি হয়েছে অলিন্দ যুদ্ধ নিয়ে। অভিনয়ে দেখা গিয়েছে কিঞ্জল নন্দ (kinjal Nanda), গুলশানারা খাতুন (Gulshanara Khatun), রেমো (Remo), অর্ণ মুখোপাধ্যায়কে (Arna MUkhopadhyay)। ব্রিটিশদের বর্বরতার নৃশংস দৃশ্য এই ছবিতে ফুটে উঠেছে। দর্শককে ভয় পাওয়াবে, ঘৃনা ধরাবে এই ছবি। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন কান সিং সোধা (Kan Singh Sodha)। মুক্তি পেয়েছে চলতি বছরের 26 জানুয়ারি।

Connect On :