ফের ম্যালওয়্যার অ্যাটাক (Malware Attack)! এবার নিশানায় ছিল সমস্ত জনপ্রিয় ভিডিও গেমস (Video Games)। মোট 28টি গেমে এই ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই গেমগুলোর মধ্যে রয়েছে Roblox, FIFA, PUBG, Minecraft এর মতো সমস্ত গেম। গত বছরের জুলাই মাস থেকে এই বছরের জুন মাসের মধ্যে 28টি গেমে এই ম্যালওয়্যারের হদিস পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে এই ম্যালওয়্যারের শিকার হয়েছে 3,84,000 গেমার। পরিসংখ্যান এমনটাই দাবি করছে। 92 হাজারেরও বেশি ম্যালিসিয়াস ফাইলের মাধ্যমের গেমারদের উপর প্রভাব ফেলা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই Malicious Files গুলো আসলে সব ক্ষতিকর সফটওয়্যার।
2021 সালে এমনই কিছু গেম সিরিজ লঞ্চ হয়েছে যেগুলো দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। এই গেমগুলোর তালিকায় রয়েছে Elden Ring, Halo এবং Resident Evil।, এই গেমিং সিরিজগুলোতেও Malware Attack দেখা গিয়েছে। Kaspersky জানিয়েছে Red Line ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিয়ে প্রতারণা করছে।
এটা আসলে একটি পাসওয়ার্ড চুরি করার সফটওয়্যার। গ্রাহকদের যত সেনসিটিভ ডেটা রয়েছে সেটা এই ম্যালওয়্যার হাতিয়ে নিতে পারে সহজেই। এই ম্যালওয়্যারটি গ্রাহকের পাসওয়ার্ড, ব্যাংক ডিটেলস, ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট, সহ একাধিক জিনিস হাতিয়ে নিতে পারে।
সাইবার ক্রিমিনালরা (Cyber Criminal) রোজ রোজ নতুন উপায় বার করছে গ্রাহকদের প্রতারণা করার জন্য। এমনটাই জানিয়েছেন Anton V lvanov, যিনি Kaspersky এর সিনিয়র সিকিউরিটি রিসার্চার। গেমাদের থেকে তাঁদের তথ্য হাতিয়ে সেগুলো পরে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এই অ্যাটাকাররা মূলত হানা দিয়ে থাকে ব্যক্তিগত তথ্যের উপর। গেমারদের থেকে ব্যাংকের ডিটেল সহ নানান খুঁটিনাটি বিষয়ের সঙ্গে বন্ধু অধিবের থেকেও টাকা চাওয়া হয়ে থাকে। নানান উপায়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতে প্রতারকরা। এমনটাই জানাচ্ছে সাইবার ক্রাইম গবেষকরা।
এই গেম খেলতে গিয়ে গেমাররা একাধিক উপহার পেয়ে থাকেন। এই উপহার পেতে গেলে গেমারদের নানান সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলার মাধ্যমে নিজেদের লগইন আইডি দিতে হয়, এর মধ্যে রয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইত্যাদি। এই যে লগইন ডেটা দেওয়া হয় তার থেকেও অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকেও প্রতারকরা গেমারদের নানান তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। একটি গবেষণা অনুযায়ী 2021 সালের শুরু দিকের তুলনায় গেমের মাধ্যমে প্রতারিত গেমারদের সংখ্যা 13% বেড়েছে। নানান গেমের মাধ্যমে খুব সুক্ষ্ম ভাবে এই ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর গ্রাহকরা না বুঝেই নিজেদের অজান্তেই তার শিকার হচ্ছেন এবং ফাঁস হয়ে যাচ্ছে তাঁদের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য। শুধু তাই নয়, তাঁরা আর্থিক প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন অনেকে।