কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের কাঁধে এল নতুন দায়িত্ব। Online Gaming নেশা এবং প্রভাব দুই দেশে বিস্তর ভাবে ছড়াচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা। এমন একাধিক গেম আছে যা খেললে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। তাই এবার সেই সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার MEITY এর হাতে তুলে দিল। আর তারপরই এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের তরফে সেলফ রেগুলেশনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে গেমিং কোম্পানিগুলোর জন্য। এই খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক বিষয়। আর এই বিষয়গুলোর অন্যতম হল যাঁরা গেম খেলছে, অর্থাৎ সমস্ত গেমারদের KYC বা Know Your Customer থাকা আবশ্যক হতে হবে। এই নিয়ম চালু হলে সমস্ত গেমিং কোম্পানিগুলোকে গেমারদের জন্য KYC করে রাখতেই হবে।
সেলফ রেগুলেটরি অর্গানাইজেশন থাকতে হবে সমস্ত অনলাইন গেমিং কোম্পানিগুলোর। এমনটাই বলা হয়েছে কেন্দ্রের তথ্য প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের প্রস্তাবে। শুধু তাই নয়, প্ররুরু গেমিং কোম্পানির একটি করে ফিজিক্যাল অফিস এবং তার অ্যাড্রেস থাকতে হবে ভারতে। সঙ্গে থাকতে হবে একজন করে নোডাল অফিসার যিনি সংস্থার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। অনলাইন গেমিংয়ের প্রতিটি স্তরের জন্য এই ফ্রেম ওয়ার্ক আনা হবে বলে জানানো হয়েছে MEITY এর তরফে। আর কোনও খেলোয়াড় যদি তাঁর অনলাইন গেমিং অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে তাঁকে তাঁর KYC লাগবেই।
রাজীব চন্দ্রশেখর, তথ্য প্রযুক্তি এবং ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানান, এই সেলফ রেগুলেটরি নিয়ম আনা হচ্ছে মূলত আর্থিক ঝুঁকি সম্পন্ন বা বেটিং সম্পর্কিত যে খেলাগুলো আছে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। একই সঙ্গে তিনি জানান যে কোনও খেলায় বাজি ধরতে গেলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। আর প্রতি সংস্থার এই সেলফ রেগুলেটরি অর্গানাইজেশনের কাজ হবে গোটা বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা, কোন গেম অনুমোদিত, কোনটা নয় সেরা দেখা। নো গো এরিয়ায় ফেলা হবে সেই সমস্ত অনলাইন গেমসকে যেখানে খেলোয়াড়রা অনেক টাকার বাজি ধরেন। তিনি সকলকে মনে করিয়ে দেন দেশের আইটি আইনের 3(b) 10 ধারা অনুযায়ী কোনও অনলাইন গেমিংয়ের ফলের উপর বেট করা আইনত নিষিদ্ধ।
এবার প্রশ্ন কেন কেন্দ্র এম। পদক্ষেপ নিচ্ছে? কেন এত কড়াকড়ি? কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে খেলোয়াড়রা যাতে গেম খেলতে গিয়ে আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন সেটা খেয়াল রাখা। একাধিক স্কিল বেসড গেম রয়েছে যেমন রামি সেখানে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে আর্থিক ঝুঁকি আছে এমন সব গেমগুলো যেন এবার থেকে ভারতীয় আইন অনুযায়ী খেলা হয়ে থাকে। যে নতুন প্রস্তাব আনা হয়েছে অনলাইন গেমিংয়ের জন্য এবার থেকে গেমারদের KYC বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে যাতে তাদের সমস্ত তথ্য এবং যাচাই করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। একই সঙ্গে তাঁরা যে গেমগুলো খেলবেন সেগুলোর রেজিস্ট্রেশন মার্ক দেখাতে হবে। আর সেই রেজিস্ট্রেশন SRO বা সেলফ রেগুলেটরি অর্গানাইজেশনকে দেখে অ্যাপ্রুভ করতে হবে।
ফলে আপনার যদি 18 বছরের বেশি বয়স হয় এবার থেকে অনলাইন গেম খেলার জন্য আপনাকে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে সঙ্গে KYC করতে হবে। আর যাঁদের 18 বছরের কম বয়স তাঁরা আর কোনও আর্থিক লেনদেন রয়েছে বা ঝুঁকি রয়েছে এমন খেলা খেলতে পারবেন না। যদিও এই আইন পাশ করতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তারপরই আইন লাগু হবে।