বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারতীয়রা WhatsApp -এ লাগাতার আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে কল পেয়েছেন। এক একদিন কেউ কেউ তো একাধিকবার কল পেয়েছেন। এসেছে মেসেজ।
এই নম্বরগুলো মূলত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইথিওপিয়া, ইত্যাদি দেশের। নম্বরগুলো কোড শুরু হচ্ছে +84, +62, ইত্যাদি দিয়ে। বহু ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। এই সমস্যার বিষয়ে উল্লেখ করে Meta অধীনস্থ এই সংস্থা জানিয়েছে যে তারা AI ব্যবহার করবে স্প্যাম কল আটকানোর জব্যন মেশিন বেজড লার্নিং এর ভিত্তিতে এই ধরনের ঘটনা আটকাবে তারা।
WhatsApp তাদের একটি বক্তব্যে জানিয়েছে তারা তাদের AI এবং ML সিস্টেম চালু করে দিয়েছে। এর সাহায্যে এখন যে পরিমাণে স্প্যাম কল আসছে সেটাকে প্রায় 50% কমানো যাবে বলে দাবি করেছে তারা। একই সঙ্গে বলেছে গ্রাহকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে।
সম্প্রতি ভারত সরকার এই সমস্যার ব্যাপারে সরব হয়েছিল। তারপরই WhatsApp -এর তরফে এই বার্তা দেওয়া হয়। নেওয়া হয় এই পদক্ষেপ।
IT মিনিস্ট্রির তরফে বলা হয়েছে সমস্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উচিত সমস্ত ডিজিটাল নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যদি কোনও ভুলভাল ঘটনা ঘটে, কেউ যদি এই স্প্যাম কলের শিকার হন তাহলে তার দায় বর্তাবে এই কোম্পানিগুলোর উপরেই।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন WhatsApp -এ যেভাবে নাগরিকরা স্প্যাম কল পাচ্ছেন সেটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সরকারের। তিনি জানান সরকারের তরফে এই বিষয়ে WhatsApp -কে নোটিশ পাঠানো হবে।
তিনি একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন যে কী করে প্রতারকরা ভারতীয়দের নম্বর পাচ্ছে। তিনি জানতে চান কোনও ডেটাবেস কি ফাঁস করা হয়েছে? যদি সেটা হয়ে থাকে তাহলে সেটা প্রাইভেসির শর্তকে লঙ্ঘন করেছে। আমি অনুরোধ করব এই ধরনের মাধ্যমগুলোকে এই বিষয়ে নজর দিতে।
কেন্দ্রের এই প্রশ্ন এবং মধ্যস্থতার পর হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে তারা তাদের AI -কে আরও শক্তিশালী ভাবে চালু করবে।
WhatsApp জানিয়েছে তারা AI ব্যবহার করছে স্প্যাম মেসেজ চিহ্নিত করার জন্য। AI সিস্টেম স্প্যাম মেসেজের ধরন চিনতে পারে, বিশেষ করে কীওয়ার্ড এবং ফ্রেজ ধরে। এর সাহায্যে ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছানোর আগেই WhatsApp এই ধরনের মেসেজকে ব্লক করে দেয়।
কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে মেশিন লার্নিং পদ্ধতির মাধ্যমে তারা তাদের স্প্যাম ফিল্টার করার পদ্ধতিকে আরও ভালো করে তুলবে। এছাড়াও WhatsApp -এর তরফে আরও একাধিক মাধ্যমে স্প্যাম কল চিহ্নিত করছে এবং তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে। যেমন:
ব্যবহারকারীদের স্প্যাম -এর বিষয় সচেতন করছে।
ব্যবহারকারীরা এখন সহজেই স্প্যাম মেসেজ ব্লক বা রিপোর্ট করতে পারেন।
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে তাদের স্প্যাম ফিল্টার করার সিস্টেমকে আরও উন্নত করা হচ্ছে। এটার জন্য তারা AI এবং ML পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
এর আগে WhatsApp -এর তরফে জানানো হয়েছিল যে ব্যবহারকারীরা যত স্প্যাম কল বা মেসেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন ব্লক করবেন তত তাদের সুবিধা হবে এই ধরনের কল আটকানোর জন্য।