এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড হওয়া সত্ত্বেও ফাঁস হচ্ছে Whatsapp চ্যাট, কীভাবে থাকবেন সতর্ক, জানুন
ড্রাগ মামলায় বিভিন্ন ব্যাক্তিদের Whatsapp চ্যাটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হচ্ছে
প্রশ্ন উঠছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সিকিউরিটি নিয়ে
End-to-end encrypted হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে ফাঁস হচ্ছে চ্যাট, মুখে মুখে ঘুরছে এমন প্রশ্ন
বলিউডের ড্রাগ কেস মামলায় একেরপর এক সামনে আসছে বিভিন্ন সেলিব্রিটির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট। যার ফলে Whatsapp ব্যবহারকারীদের মনে প্রশ্ন জাগছে আদৌ কি এই মেসেজিং অ্যাপ সিকিওর। আগেও হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা নিয়ে বারবার উঠেছে অনেক প্রশ্ন। ফেসবুকের অধীন এই মেসেজিং অ্যাপ চ্যাট এনক্রিপশনের পাশাপাশি ব্যাকআপ এনক্রিপশনের ফিচার আনলেও, এই অ্যাপকে ব্যবহার করতে ভরসা পাচ্ছেনা কেউই।
ফেসবুকের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে আরও অভিযোগ তোলা হয়েছে যে অ্যাডভারটাইজমেন্টের স্বার্থে ইউজারদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটকে আগাগোড়া অ্যানালাইসিস করছে সংস্থা। তবে এই অভিযোগকে এক্কেবারে উড়িয়ে দিয়েছে Facebook।
Whatsapp জানিয়েছে যে সেন্ডার এবং রিসিভার ছাড়া অন্য কোনো থার্ড পার্টি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অ্যাক্সেস করতে পারবেন না। এমনকি মেসেজের সাথে সাথে ফটো এবং ভিডিও ফাইল এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড। তাহলে কি করে লিক হচ্ছে এত হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশট।
মূলত এখন যে স্ক্রিনশট লিকের ঘটনা সামনে আসছে সেখানে অভিযুক্তরাই নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস তদন্তকারীদের দিচ্ছেন, যার ফলে অভিযুক্তদের সাহায্যে তাদের ফোন থেকে চ্যাট পড়তে এবং স্ক্রিনশট নিতে পারছেন তদন্তকারী সংস্থা।
এগুলি ছাড়াও ভুয়ো কোনো অ্যাপ বা ম্যালওয়্যার রয়েছে এমন অ্যাপ ডাউনলোড করলে কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের অ্যাক্সেস পেতে পারে হ্যাকারেরা। প্লে- স্টোর থেকে কিছুদিন আগেই এই অভিযোগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে 200 টির কাছাকাছি অ্যাপকে।
সবার শেষে একটা বিষয় বলার যে ইউজার কোনো মেসেজিং অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটা কথা বলবেন, বা কততা বক্তব্য রাখবেন তার পুরোটাই রয়েছে ইউজারের হাতে। তাই নিজে সচেতন থাকলে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে কম।