ভারত তথা গোটা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp)। এটি জনপ্রিয় কারণ এর সেফটি ফিচারের জন্য। এবার খোদ এই সংস্থার সিইও সতর্ক হতে বললেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা নিয়ে। WhatsApp এর তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হল তার ব্যবহারকারীদের জন্য, মূলত অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য। হোয়াটসঅ্যাপের একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। সেই বিপদজনক WhatsApp ব্যবহার করলেই ইউজাররা চরম বিপদে পড়তে পারেন। এই বিষয় নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের সিইও উইল কাথকার্ট সচেতন করে টুইট করেন একটি। তিনি হোয়াটসঅ্যাপের ইউজারদের অনুরোধ করেছেন কেউ যেন ভুলেও এই মডিফায়েড ভার্সনগুলো ব্যবহার না করেন। তাহলেই ইউজাররা বড় বিপদের সম্মুখীন হবে।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় instant messaging app। আর যা জনপ্রিয় তাকেই হাতিয়ার বানায় প্রতারকরা। এখন তাই হোয়াটসঅ্যাপকেই হাতিয়ার বানিয়েছে তারা। আসলে দুর্বৃত্তের ছলের অভাব হয় না। এ কথা জানাই। হোয়াটসঅ্যাপের যে সিকিউরিটি রিসার্চ দল আছে তারা এমন বহু অ্যাপস পেয়েছে যেগুলো হোয়াটসঅ্যাপের মতোই একই ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
Hey WhatsApp নামক একটি অ্যাপ HeyMods ডেভেলপার তৈরি করেছে যা আদতে ফেক এবং মডিফায়েড ভার্সন। এই ভার্সন যেন ইউজাররা কখনই ব্যবহার না করেন সেই বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপের সিইও। তিনি বারবার অনুরোধ করেছেন এই ভার্সনটি যেন কোনও ইউজার ভুলেও ডাউনলোড না করেন।
হোয়াটসঅ্যাপের সিকিউরিটি রিসার্চ টিম খতিয়ে দেখেছে এই অ্যাপে হোয়াটসঅ্যাপের সমস্ত সুবিধা তো আছেই, সঙ্গে আছে অতিরিক্ত কিছু সুবিধা। আর এই সুবিধার লোভে এগোলেই বিপদ। কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে। গ্রাহকদের ফোনে থাকা সমস্ত গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্য, ইত্যাদি হাতিয়ে নিতে পারে তারা। আসল হোয়াটসঅ্যাপে End to End encryption এর সুবিধা থাকে। কিন্তু এই নকল বা মডিফায়েড ভার্সন যতই অন্যান্য ফিচারের সুবিধা দিক তাতে এই বিশেষ ফিচারটি থাকে না। এটাই মডিফায়েড ভার্সন এর থেকে আসল ভার্সনকে আলাদা করে। এটা মনে রাখা জরুরি।
এই এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন এর কারণেই কিন্তু কেউ আপনার কোনও ব্যক্তিগত চ্যাট বা তথ্য জানতে পারে না। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও না। তাই WhatsApp যেটা পারে না সেটা কিন্তু সহজেই এই ফেক ভার্সনগুলো করে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয় আপনার সমস্ত কিছুর অ্যাকসেস তাঁদের কাছে চলে যাবে।
তবে আশার কথা এই যে হোয়াটসঅ্যাপের এই ভুয়ো ভার্সনগুলো গুগলের প্লে স্টোরে উপলব্ধ নয়। যাঁরা আনঅফিসিয়াল সূত্র থেকে এই অ্যাপগুলো ডাউনলোড করেন তাঁদের জন্যই রয়েছে বিপদ। তাঁদের আরও অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের তরফে তাই সবসময় এই ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপের অফিসিয়াল ভার্সন ডাউনলোড করতে বলা হয় গুগল প্লে স্টোর থেকে। অথবা এই সংস্থার সাইট থেকে। কাথকার্ট তাঁর টুইটে জানিয়েছেন তাঁরা সবসময় এই ভুয়ো ভার্সনগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং ব্লক করছেন।
HeyMods এর বিরুদ্ধে তাঁরা যে আইনি ব্যবস্থাও নেবেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে দেন হোয়াটসঅ্যাপে সিইও হতে ভবিষ্যতে আর এরম ঘটনা না ঘটে। একই সঙ্গে তাঁরা HeyMods বা এরম অন্যান্য যে অ্যাপগুলো আছে তাদের থেকে জবাবদিহি চাইবে আইনি পথে। আপাতত ইউজারদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।