মেসেজিং অ্যাপ Whatsapp-এ মান্থলি কমপ্লিয়েন্স রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে এই মেসেজিং অ্যাপ ভারতের 20 লাখের বেশি অ্যাকাউন্টকে ব্যান করেছে। মান্থলি কম্পপ্লিয়েন্স রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে যে হোয়াটসঅ্যাপ 420 গ্রিভেন্স রিপোর্ট পেয়েছে পুরো আগস্ট জুড়ে। একটা অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করে জানা গিয়েছে যে এটি একটি ভারতীয় ইউজারেরা অ্যাকাউন্ট যার ফোন নাম্বার শুরু হচ্ছে 91+ থেকে। 20,70,000 অ্যাকাউন্ট ব্যানের প্রধান কারণ হল এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে আনওথোরাইজড বাল্ক মেসেজের ব্যবহার হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের কমপ্লিয়েন্স ডেটায় দেখা গিয়েছে যে হোয়াটসঅ্যাপ 420 ইউজার রিপোর্ট পেয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট জুড়ে, যেখানে ব্যান অ্যাপিল, প্রোডাক্ট সাপোর্ট, সেফটি ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট করা হয়েছে। এই সমস্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে হোয়াটসঅ্যাপ 41 টি অ্যাকাউন্টের ওপর রেমিডিয়াল অ্যাকশন নিয়েছে।
50 শতাংশ বাম্পার ডিসকাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে 50 inch Full HD স্ক্রিন সহ সেরা Smart TV
হোয়াটসঅ্যাপের সাপোর্ট পেজে জানানো হয়েছে যে যখন এটি গ্রিভেন্স চ্যানেলের মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্টে ইউজার রিপোর্ট বা অভিযোগ পায় তখন এই মেসেজিং অ্যাপ বিভিন্ন টুল এবং রিসোর্স ব্যাবহার করে প্ল্যাটফর্মের ভুল ব্যাবহার বন্ধ করার জন্য।
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে যে ইউজার সেফটি রিপোর্টে সমস্ত অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ থাকে সেইসঙ্গে কোম্পানির তরফে কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই বিষয়েও উল্লেখ থাকে।
হোয়াটসঅ্যাপের মূল উদ্দেশ্য হল কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তেজনামুলক মেসেজ যাতে না যায় তা বন্ধ করা। কোম্পানির তরফে এই ধরণের অ্যাকাউন্টগুলির ওপর কড়া নজরদারি পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয় যে কোম্পানির তরফে চার থেকে ছয়দিনের মধ্যে মোট 3 মিলিয়ন অ্যাকাউন্টকে ব্যান করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে 16 জুন থেকে 31 জুলাইয়ের মধ্যে। যার মূল উদ্দেশ্য হল অনলাইন অ্যাবিউস বা অপমান বন্ধ করা। গ্রিভেন্স চ্যানেলের মাধ্যমে ইউজারদের দ্বারা ভায়োলেশন সম্পর্কিত যে সমস্ত অভিযোগ মিলেছে, সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের তরফে।
যে সমস্ত ইউজার অ্যাকাউন্ট অশ্লীল মেসেজ পাঠায়, মোট পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে হোয়াটসঅ্যাপের কাছে সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের রেকর্ড থাকে, যার ওপর নির্ভর করে ভারত এবং গোটা বিশ্ব জুড়ে লক্ষাধিক অ্যাকাউন্টকে ব্যান করে কোম্পানি। জানা গিয়েছে যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বাধিক ব্লাক মেসেজ পাঠানো হয় তার 95% হল ভারতীয় ইউজারদের।
এই অ্যাবিউস ডিটেকশন কাজ করে অ্যাকাউন্টের তিনটি লাইফস্টাইল স্তরে- রেজিস্ট্রেশনের সময়, মেসেজ করার সময় এবং উত্তর হিসেবে নেগেটিভ ফিডব্যাক লাভের সময়। এগুলি প্রতিটিই পাওয়া যায় ব্লক এবং রিপোর্টের মাধ্যমে- এমনটাই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। জানা গিয়েছে এই অ্যানালাইজেশনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের রয়েছে একটি স্পেশ্যাল টিম। কোম্পানির তরফে এই সিস্টেমকে আরও উন্নত করার জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।