মেটাভার্স এর অন্যতম অংশ হোয়াটসঅ্যাপ মে মাসে ভারতের 1.9 মিলিয়ন অ্যাকাউন্টকে ব্যান করে দিয়েছে। গত শুক্রবার, অর্থাৎ 1 তারিখ হোয়াটসঅ্যাপ তাদের দ্বাদশ ব্যবহারকারী সুরক্ষা মাসিক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য সামনে এনেছে। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ হচ্ছে সব থেকে জনপ্রিয় ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। অধিকাংশ মানুষই কথা, চ্যাট, অডিও ভিডিও শেয়ার করার জন্য হোয়াটসঅ্যাপকেই বেছে নেয় বা পছন্দ করে। আর তারাই কিনা এমন সিদ্ধান্ত নিল!
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে তারা তাদের ইউজারদের সুরক্ষার বহু বছর ধরে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর সুবিধা নিচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যবহার করছে অন্যান্য অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি, ডেটা বিজ্ঞান, ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞদের মতামতও নিচ্ছে তারা। ইউজারদের সুরক্ষার জন্য তারা এই জিনিসগুলোর পিছনে যথেষ্ট বিনিয়োগ করছে বলেই জানিয়েছে। তারা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে তারা সমস্ত ব্যবহারকারীদের অভিযোগ এবং হোয়াটসঅ্যাপের তরফে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছে কখন নিয়েছে একটা বিশদ বিবরণ রয়েছে।
ইউজারদের নিরাপত্তা রিপোর্ট অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ মে মাসে মোট 149 টি কমপ্লেন পেয়েছিল যেগুলোর বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো দিকে 330টি নিষেধাজ্ঞার আবেদন ছিল যার মধ্যে মাত্র 23 টির উপর কাজ করেছিল হোয়াটসঅ্যাপ। এর পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে 29 টি রিপোর্ট জমা পড়েছিল তার মধ্যে কেবল একটির উপরেই কাজ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। 34 টি পণ্য এবং 13 টি নিরাপত্তা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়লেও সেগুলোর একটার উপরেও কাজ হয়নি বলেই হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে 528 রিপোর্ট জমা পড়লেও মাত্র 24টির উপর কাজ করা হয়েছে। কোন অ্যাকাউন্ট অপব্যবহার করছে এটা নির্ভর করে তিনটে বিষয়ের উপর। প্রথমত যখন কোনও অ্যাকাউন্ট রেজিষ্টার করা হয়, দ্বিতীয়ত মেসেজ করার সময় এবং তৃতীয়ত কোনও নেতিবাচক প্রক্রিয়ার প্রক্রিয়া দেওয়া হয় যখন। এগুলো ইউজাররা ব্লক এবং রিপোর্ট হিসেবে পায়।
ফলে সব মিলিয়ে মোট 1910000 অ্যাকাউন্ট হোয়াটসঅ্যাপের তরফে ব্যান করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কিত কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে অভিযোগ অফিসারের কাছে মেল পাঠানো যেতে পারে অথবা একজন ভারতীয় নাগরিক কী ভাবে কোনও অভিযোগকারী অফিসার এবং হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সেই বিষয়ে বিশদে তাদের সাইটে দেওয়া আছে।