পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট হল Twitter। এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটটির দায়িত্ব কিছু মাস আগেই Elon Musk নিয়েছেন। তিনি এই সাইটটির মাধ্যমে সমস্ত ব্যবহারকারীর বাকস্বাধীনতা ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে Twitter এর প্রতিযোগী হিসেবে উঠে আসছে Koo। এটি একটি ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাপ। আর সেই অ্যাপ এখন ভারত তো বটেই, অন্যান্য একাধিক দেশেও Twitter-কে করা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে। এবার সেই অ্যাপের যে অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট ছিল সেটাকে ব্যান করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল Elon Musk -এর Twitter -এর বিরুদ্ধে।
ময়াঙ্ক বিদ্বতকা, যিনি Koo এর সহপ্রতিষ্ঠাতা, তিনি জানিয়েছেন যে শুক্রবার Koo -এর একটি অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টকে টুইটারের তরফে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেন সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে অনুমান করা হচ্ছে যেহেতু Koo Twitter -এর প্রতিযোগী সেই কারণেই হয়তো এই স্বদেশী অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শুধু যে Koo তাই নয়, Twitter এর আরেক প্রতিযোগী Mastodon কেও টুইটারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
টুইটারে এমন অদ্ভুত আচরণের সাক্ষী থাকার পরই ময়াঙ্ক প্রশ্ন তোলেন এ কেমন বাকস্বাধীনতা! এই স্বাধীনতা দেওয়ার কথাই কি বলেছিলেন মাস্ক? একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন যে এটা আমরা কোন দুনিয়ায় বাস করছি? Kooeminence নামক যে টুইটার হ্যান্ডেল ছিল Koo -এর সেটাকেই টুইটারের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে টুইটার যে এমন কাজ প্রথমবার করল সেটা কিন্তু মোটেই নয়। এর আগেও একাধিক সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্টও টুইটারের তরফে পাকাপাকি ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। রায়ান ম্যাক, দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক, ডনি ও'সুলিভান সিএনএনের সাংবাদিক, ড্রু হারওয়েল ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক সহ একাধিক সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনটাই একটি রিপোর্টে জানানো হয়। এঁদের সকলের অ্যাকাউন্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কিন্তু এত সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট কেন সাসপেন্ড করা হল? Twitter এর তরফে এলন মাস্ক জানান, প্রাইভেট জেট ট্র্যাকিং সম্পর্কিত নতুন নিয়ম আসার পরেই এই অ্যাকাউন্টগুলিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। Elon Musk এবং Twitter এর এই কার্যকলাপ দেখে অনেকেই বিক্ষুব্ধ। যবে থেকে তিনি টুইটার অধিগ্রহণ করেছেন তবে থেকেই এমন একটার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন, যাতে কেউই খুশি নন। তবে কেন Koo এর অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পর তিনি এই বছর টুইটার অধিগ্রহণ করেন।