ফোন নির্মাতাদের কড়া বার্তা সরকারের! সমস্ত স্মার্টফোনে রাখতে হবে FM রেডিও

Updated on 07-May-2023
HIGHLIGHTS

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ICEA এবং MAIT -কে নির্দেশ দেওয়া হল

সরকারের তরফে বলা হয়েছে ফোনে রেডিও রাখা আবশ্যক

জরুরি অবস্থায় যাতে এফএম রেডিও ব্যবহার করা যায় সেটার জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

ভারত সরকারের তরফে সমস্ত স্মার্টফোন প্রস্তুতকারককে প্রতিটা স্মার্টফোন FM Radio দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থায় যাতে মানুষের সহজে রেডিওর অ্যাকসেস পান সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। একই সঙ্গে তাঁদের বিনোদনের একটা মাধ্যম হিসেবেও উঠে আসবে এটি। 

গ্রামাঞ্চলে যাঁরা থাকেন তাঁদের পক্ষে আলাদা করে রেডিও কেনা সম্ভব নয়। অথচ যোগাযোগের জন্য এখন সবার হাতেই মোবাইল আছে। তাই সেটার সাহায্যেও যাতে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ FM রেডিও শুনতে পান তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য আছে, সমস্ত ফিচার ফোনে এই FM রেডিও থাকত। এখন কিছু কিছু স্মার্টফোনেও এটি দেখা যায়। 

ICEA বা ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি নির্মাতা সংস্থা বা MAIT -কে। এই পরামর্শে বলা হয়েছে যে জরুরি অবস্থা বা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে যাতে সেটার বিষয়ে আগে থেকে মানুষ সচেতন হতে পারেন, তাঁদের কাছে সমস্ত বার্তা থাকে তার জন্য মোবাইল ফোনে এই FM রেডিও দিতে হবে।

এর ফলো প্রয়োজনে তাঁরা চট করে সেটার অ্যাকসেস পেতে পারেন। একই সঙ্গে জরুরি অবস্থায় যাতে সমস্ত অঞ্চলে এটির কানেকটিভিটি পাওয়া যায় সেটা দেখার কথাও বলা হয়েছে। 

আইটি মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বলা হয়েছে, মোবাইল ফোনে FM রেডিও থাকা উচিত, এটাকে যেন নিষ্ক্রিয় না করা হয়। এটা যেন অ্যাক্টিভ অবস্থাতেই থাকে। আর যদি কোনও স্মার্টফোনে এই ফিচার না থাকে তাহলে সেটাকে যুক্ত করতে হবে। 

প্রসঙ্গত স্মার্টফোনে এই FM রেডিও দেওয়ার যে ফিচার ছিল সেটা গত কয়েক বছরে বেশ অনেকটাই কমেছে। এতে যাঁরা সমাজের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ তাঁদের মনে খারাপ প্রভাব পড়ছে বলেও মনে করা হচ্ছে। কারণ এঁরা যে কোনও বিপদের সময় রেডিওর উপরেই ভরসা করে থাকেন।

অন্যদিকে বলা হয়েছে এটা জীবন জীবিকা বাঁচানোর জন্য জরুরি। আলাদা রেডিও সেট বা গাড়ির রিসিভার ছাড়া ফোনে এই ফিচার থাকলে সেটা দ্রুত অ্যাকসেস করা যাবে বলে জানানো হয়েছে যা বিপদে জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবেন। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসার আগে সেটার সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন। 

আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের তরফে যা বলা হয়েছে সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সংস্থার মতে রেডিও একটি অত্যন্ত শক্তিশালী গণমাধ্যম বিশেষ করে বিপদ বা জরুরি অবস্থার সময়। আগাম সতর্কতা বার্তা দিতে এটা ভীষণই কাজে লাগে।

Subhasmita Kanji

I am Subhasmita Kanji from Kolkata. I have completed my Masters in Geography from University of Calcutta. In Media sector I have worked for several eminent houses like 4th Pillars, Bangla Jago Tv, Hindustan Times Bangla, and Digit Bangla.

Connect On :