মাত্র কয়েকটি দিন হয়েছে যে Elon Musk, যিনি Tesla এর কর্ণধার তিনি Twitter কিনেছেন। আর তাঁর এই পদক্ষেপের পর Joe Biden তাঁর কড়া সমালোচনা করলেন। উল্লেখ্য জো বাইডেন হলেন বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। জো বাইডেন সম্প্রতি একটি মন্তব্য করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন যে এলন মাস্ক এমন একটি মঞ্চ কিনেছেন যেখান থেকে মিথ্যে বা গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কোথায় এমন মন্তব্য করেছেন? শিকাগো শহরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় তিনি এমন কথা জানান। পাশাপাশি তিনি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির এই সিদ্ধান্তকে যে সমর্থন করেন না সেটাও কোথাও যেন স্পষ্ট করে দিলেন।
তবে বাইডেন সেই সভা বা অনুষ্ঠানে গিয়ে আসলে কী বলেছিলেন? তিনি প্রশ্ন করেন যে বর্তমান সময়ে আমরা সকলে কী ভেবে বা কী নিয়ে উদ্বিগ্ন? তারপরই তিনি বলেন, 'সেখানে দাঁড়িয়ে এলন মাস্ক এমন এক মঞ্চ কিনলেন যেখান থেকে মিথ্যে ছড়ানো হয়।' একই সঙ্গে তিনি জানান যে টুইটারের কোনও এডিটর নেই, ফলে বাচ্চারা যে এখান থেকে কিছু শিখতে পারবে না তেমন আশা রয়েছে তেমনটা তিনি মনে করেন না বলেই জানিয়েছেন।
টুইটার কেনা নিয়ে প্রচুর টালবাহানা চলেছে। অনেক ঘটনার পর অবশেষে এলন মাস্ক এই সংস্থা কিনেছেন। এবং কেনার পরই তিনি একাধিক রদ বদল করেছেন এবং আগামীতে আরও পরিবর্তন আনবেন বলেই জানিয়েছেন। টুইটার থেকে ব্যাপক হারে গণ ছাঁটাই হবে বলে তিনি জানান। আর এই গণ ছাঁটাইয়ের সূচনা তিনি করেছেন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালকে দিয়ে। পরাগ আগরওয়াল একজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত। তাঁকে সবার আগে বরখাস্ত করেছেন এলন মাস্ক। এরপর একে একে তিনি একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ছাঁটাই করেছেন।
এবার তিনি ভারতে যাঁরা টুইটারে চাকরি করেন তাঁদের মধ্যে থেকে 'অপ্রয়োজনীয়' কর্মীদের বাদ দেবেন বলেই জানা গিয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকেই নাকি এই কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হবে। কেন এলন মাস্ক এভাবে কর্মী ছাঁটাই করছেন? এর উত্তরে তিনি জানিয়েছেন যে টুইটারকে সঠিক পথে চালানোর জন্য বিশ্ব জুড়ে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একাধিক কর্মীকে ছাঁটাই করার প্রয়োজন আছে। যদিও সিদ্ধান্তটাকে তিনি দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন তবুও তাঁকে এই কাজ করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে এক মহিলা দিল্লি হাইকোর্টে এলন মাস্কের নামে কেস করেছেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে। তাঁর দাবি তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে 2 লাখ 55 হাজার ফলোয়ার ছিল। এভাবে অ্যাকাউন্ট ডিলিট করায় সব উড়ে গিয়েছে। কিন্তু আদালতের তরফে তাঁর এই মামলা নেওয়া হয়নি। খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। উল্টে তাঁকে 25 হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে।