WhatsApp এখন সাইবার ক্রিমিনালদের সফট টার্গেট হয়ে উঠেছে। হামেশাই শোনা যায় কোথাও কেউ না কেউ এই WhatsApp -এর মাধ্যমেই প্রতারিত হয়েছেন। সাইবার প্রতারকরা নিত্য নতুন উপায় খুঁজে বের করছেন সাধারণ মানুষকে ঠকানোর জন্য।
বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজি, বুদ্ধি ব্যবহার করছে তাঁরা। সম্প্রতি আরও একটি নতুন ধরনের স্ক্যামের কথা বাজারে খুব ঘুরপাক খাচ্ছে।
বহু WhatsApp ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন তাঁদের কাছে কিছু না করেই OTP এসেছে। অর্থাৎ WhatsApp ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রতারকরা সেই অ্যাকাউন্টটিকে হাতাতে চাইছেন। এবং হ্যাক করছেনও। বিভিন্ন উপায়ে প্রতারকরা এই WhatsApp ভেরিফিকেশন কোড চুরি করে নিচ্ছেন।
WhatsApp -এর এই ভেরিফিকেশন কোডের কিছু বিষয় তাই ব্যবহারকারীদের জেনে রাখা উচিয়। এবং একই সঙ্গে এটাও মাথায় রাখা উচিত তাঁদের যে সেই কোড দিয়ে তাঁরা কী করতে পারেন এবং কী নয়। WhatsApp -এর তরফে কিন্তু এই ফিচারটি আনা হয়েছে মূলত ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে।
তাঁদের অ্যাকাউন্ট নিরাপদে রাখার জন্যই এই ফিচার এনেছিল এই কোম্পানি। আর কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চায় তাহলে এই ফিচার আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে।
কেউ যদি যে মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্ট আছে সেটা দিয়েই অন্য মোবাইলে লগইন করতে চায় অর্থাৎ পাতি কথায় হ্যাক করতে চায় তাহলে WhatsApp আপনাকে নোটিফিকেশন পাঠাবে। তাই কিছু না করেও যদি আপনার কাছে এভাবে কোনও ভেরিফিকেশন কোড আসে বা কেউ কল করে যদি সেই কোড চায় তাহলে স্পষ্টই বুঝে যাবেন যে কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে চাইছে। আপনি কোনও ভাবেই সেই OTP কাউকে দেবেন না।
হ্যাঁ এটা অনেক সময় হয় যে ধরুন কারও নম্বর আর আপনার ফোন নম্বরের মধ্যে বিশাল মিল হয়তো একটা সংখ্যা ফারাক, তো সেক্ষেত্রে ভুল হতে পারে। কিন্তু তাও OTP দেবেন না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু এটা আসলে হ্যাকারদের চাল, আপনি অসতর্ক হলেই তাদের সুবিধা আপনার ক্ষতি।
আপনার বন্ধু, পরিবারের বা অচেনা কেউ যেই হোক না কেন তাঁকে ভুলেও এই ভেরিফিকেশন কোড দেবেন না। এটা কেবল আপনার। মনে রাখবেন এই ভেরিফিকেশন কোড কাউকে দেওয়ার অর্থ আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্ট বেহাত হওয়া। আর সেটা নিরাপদে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে ভেরিফিকেশন কোড দেবেন না, কারণ জানবেন এই ভেরিফিকেশন কোড ছাড়া আপনার প্রোফাইলে কেউ চাইলেও লগইন করতে পারবেন না।