এবার আর কোনও ফিচার নয়, না স্ক্যামও নয় একদম সম্পূর্ণ আলাদা একটা কারণের জন্য এই অ্যাপ চর্চায় উঠে এল। বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল Meta অধীনস্থ এই সংস্থার বিরুদ্ধে। এর আগেও ভারত সরকারের সঙ্গে এই অ্যাপের একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।
তখন যদিও কারণ ছিল এই অ্যাপের প্রাইভেট পলিসি। এবার এই অ্যাপের বিরুদ্ধে আড়ি পাতার অভিযোগ উঠল। এর আগের বার কেন্দ্রের কথা মেনে নিয়ে বিতর্ক থামিয়েছিল WhatsApp।
এবার ফাওয়াদ দেবরি নামক এক ব্যক্তি জানান WhatsApp নাকি আড়ি পাতছে। হ্যাঁ, চলতি মাসের 6 তারিখ এই ব্যক্তি টুইটারে এমনই অভিযোগ আনেন। তিনি জানান তাঁর অনুমতি ছাড়াই নাকি এই অ্যাপ ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে।
না, কেবল দাবি করেননি এই ব্যক্তি। নিজের দাবিকে প্রমাণ করা জন্য একাধিক স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন তিনি। আর সেখানেই দেখা যায় তাঁর ফোনের মাইক্রোফোন কতবার, কখন ব্যবহৃত হয়েছে সেই তথ্য।
এই ব্যক্তির দাবি দেখে রীতিমত মাথায় হাত WhatsApp ব্যবহারকারীদের। তবে এমন অভিযোগ ওঠার পর কিন্তু ভারত সরকার চুপ করে বসে নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দেশের ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই ব্যক্তির টুইটের উত্তর দিয়েছেন।
তিনি টুইটারে গোটা ঘটনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন এই কাজ মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন যদিও এটা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে সেটা ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ভেঙেছে।
রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন তাঁরা এই বিষয়টির সত্যতা যাচাই করে দেখবেন। যদি এটা সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি জানিয়েছেন গোটা বিষয়টির উপর তদন্ত করা হবে। নতুন ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা সুরক্ষা বিলের নিয়ম অনুযায়ী যা পদক্ষেপ নেওয়ার সেটা নেওয়া হবে।
ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী যে বিলের কথা উল্লেখ করেছেন সেটা আদতে ব্যবহৃত হয় সমস্ত নাগরিকদের মঙ্গলার্থে, তাঁদের ডেটা সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখার জন্য।
তবে অন্যদিকে কিন্তু এমন অভিযোগ ওঠার পর মোটেই চুপ করে বসে নেই WhatsApp। তাদের তরফে এই ব্যক্তির দাবিকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে এটা সেই ব্যক্তির ফোনের কোনও বাগ। কিংবা কোনও যান্ত্রিক সমস্যা হয়েছে।
WhatsApp কড়া নিয়ন্ত্রণ চালায় এই মাইক্রোফোনের উপর, এমনই জানিয়েছে অ্যাপ। যখন কোনও ব্যবহারকারী নিজে থেকে অনুমতি দেয় তখনই এটা কাজে লাগে। অর্থাৎ ভয়েস বা ভিডিও কল, ভিডিও রেকর্ড কিংবা ভয়েস নোট পাঠানোর সময় কেবল মাইক্রোফোন ব্যবহৃত হয় এই অ্যাপে। এমনটাই জানানো হয়েছে WhatsApp -এর তরফে।
WhatsApp -এর দাবি একটাই, তারা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড পরিষেবা দিয়ে থাকে। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ ব্যবহারকারীদের একাংশ। তাঁদের মতে এই অ্যাপ সবার অগোচরে আড়ি পাতে ব্যবহারকারীর ফোনে।