আরও একবার বড় সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের। রাতারাতি বন্ধ করে দেওয়া হল 104টি ইউটিউব চ্যানেল। জানা গিয়েছে দেশের জাতীয় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকারের তরফে যে পদক্ষেপ নেওয়া হল সেটা আইটি অ্যাক্ট 20এর 69ধারায় নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলো ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছিল। সেই কারণেই এগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হল। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে এই অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। তাদের যে ফ্যাক্ট চেক ইউনিট আছে তাঁরা এই অ্যাকাউন্টগুলোতে আপত্তিকর কনটেন্ট পেয়েছে। তাই সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এই অ্যাকাউন্টগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে। আগেও তাঁরা এক কাজ করছিল, ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছিল দেশের বিরুদ্ধে। সাবধান করেও কাজ দেয়নি, তাই এই চরম পদক্ষেপ নেওয়া হল বল জানালেন ভারতের তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর।
অনুরাগ সিং ঠাকুর জানিয়েছেন, এই চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছিল গুজব ছড়ানোর অপরাধে ভারত সরকারের তরফে এই 104টি চ্যানেলকে বন্ধ করে দেওয়া হল। শুধু তাই নয়, একাধিক ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড করা ভিডিও ব্লক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই 104টি চ্যানেল ছাড়াও আরও 5টি চ্যানেলকে সাময়িক ভাবে ব্যান করা হয়েছে। তাঁর মতে ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত একদম যথাযথ, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে আবার নেওয়া হবে এই পদক্ষেপ।
এদিন প্রেস কনফারেন্সে অনুরাগ সিং ঠাকুর আরও একটি তথ্য দেন। তিনি জানান 2021 এবং 2022 সালের অক্টোবর অবধি দেশের আইটি মন্ত্রণালয় মোট 1643 URL ব্লক করেছে। সেই URLগুলোর মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছিল এই পোর্টাল, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাই সেগুলোকে ব্লক করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে 2009 থেকে এখন অবধি প্রায় 30 হাজারের বেশি ওয়েবসাইট, পোর্টাল, ইত্যাদি ব্যান করা হয়েছে একই কারণে। এমনটাও জানান তিনি। তবে সদ্য 104টি ইউটিউব চ্যানেল পাকাপাকি ব্যান করা হয়েছে, 5টি চ্যানেল সাময়িক ভাবে, সঙ্গে 45টি ভিডিও, 3টি Instagram অ্যাকাউন্ট, 4টি ফেসবুক এবং 5টি টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সঙ্গে আছে 6টি ওয়েবসাইটও।