Google ব্যান করল 150 SMS Apps, জেনে নিন কীভাবে ক্ষতি করতে পারে অ্যান্ড্রয়েড ইউজারদের
Google প্লে-স্টোর থেকে 151 টিরও বেশি অ্যাপকে ব্যান করেছে
এই অ্যাপগুলি ফটো- ভিডিও এডিটিং, ক্যামেরা ফিল্টারের আড়ালে লুকিয়ে থেকে ইউজার ইনফরমেশন অ্যাক্সেস করে
80 টিরও বেশি দেশের ইউজার এই অ্যাপগুলিকে ডাউনলোড করেছেন
Google সংস্থা প্লে-স্টোর থেকে বাতিল করেছে 151 টিরও বেশি SMS অ্যাপ। এই অ্যাপগুলি এতদিন বিভিন্ন কীবোর্ড, ক্যামেরা ফিল্টার এবং অন্যান্য ইউটিলিটি অ্যাপের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। UltimaSMS ক্যাম্পেনের অধীনে থাকা এই অ্যাপগুলি ইউজারদের দামী প্রিমিয়াম এসএমএস সার্ভিস অফার করে।
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি Avast এই স্ক্যাম অ্যাপগুলিকে খুঁজে বের করেছেন। এদের মধ্যে থেকে 82 টি অ্যাপের দেখা প্লে- স্টোরে মিলেছে। এই ধরনের অ্যাপগুলিকে ডাউনলোড করেছে প্রায় 10.5 মিলিয়ন মানুষ। প্রতিটি স্ক্যাম অ্যাপই মোটামুটি একইভাবে কাজ করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এই স্ক্যাম অ্যাপগুলো কাজ করে-
এই অ্যাপগুলি লুকিয়ে রয়েছে ফটো, ভিডিও এডিটিং, ক্যামেরা ফিল্টার অ্যাপের আড়ালে-
আপনি যদি ভেবে থাকেন যে এই অ্যাপগুলি কেবল SMS অ্যাপ তবে আপনার ধারণা এক্কেবারেই ভুল। এই ফেক অ্যাপগুলির বেশিরভাগই থাকে কাস্টম কীবোর্ড, QR কোড স্ক্যানার, ভিডিও ও ফটো এডিটিং, কল ব্লকার, ক্যামেরা ফিল্টার এবং ভিডিও গেম অ্যাপের আড়ালে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ অ্যাপের অ্যাড ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতন পপুলার অ্যাপেও দেখা যায়।
ভুয়ো অ্যাপগুলির স্ট্রাকচার খানিকটা একরকম-
এই ধরণের স্ক্যাম অ্যাপগুলির স্ট্রাকচার খানিকটা একইরকমের। এই সমস্ত ফেক অ্যাপগুলিকে দেখলে মনে হবে আসল অ্যাপের মতনই। অ্যাপগুলির প্রোফাইলকে ভালোভাবে সাজিয়ে Google Play স্টোরে লঞ্চ করা হয়েছিল। এই সমস্ত ভুয়ো অ্যাপগুলির রয়েছে জেনেরিক প্রাইভেসি পলিসি স্টেট্মেন্ট এবং ডেভলপার প্রোফাইল, জেনেরিক ইমেইল অ্যাড্রেসের সাথে।
এই অ্যাপগুলি ইউজারদের লোকেশন, মোবাইল নাম্বার, IMEI নাম্বারের অ্যাক্সেস নেয়-
যখন কোনো ইউজার এই ধরনের অ্যাপগুলিকে ইনস্টল করেন , তখন ফেক অ্যাপগুলি ইউজারের মোবাইল লোকেশন, International Mobile Equipment Identity (IMEI) এবং ফোন নাম্বারের অ্যাক্সেস নেয়। পরে এগুলি দেয় ইউজারের দেশ, ভাষা এবং এরিয়া কোডকে খুঁজে বের করতে কাজে লাগায় অ্যাপগুলি।
এই অ্যাপগুলি ইউজারদের অনুমতি ছাড়াই প্রিমিয়াম অ্যাক্সেসের জন্য টাকা কেটে নেয়-
ইউজার যখন এই অ্যাপগুলিকে ওপেন করে তখন তাদের ইমেইল অ্যাড্রেস বা মোবাইল নাম্বার ইনপুট করতে বলা হয়। এই সমস্ত ইনফরমেশকে ইনপুটের পর অটোমেটিকভাবে ইউজারদের SMS সার্ভিসের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন দেওয়া হয়। কোন দেশ তার ওপর ভিত্তি করে এই ধরণের অ্যাপের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের খরচ পড়তে পারে 40 ডলার বা 3,000 টাকা পর্যন্ত।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হলেও ইউজার কোনো নোটিফিকেশন পান না-
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের পর বেশ কয়েকটি ফেক অ্যাপ মোবাইল নাম্বারে বিল সেন্ড করলেও অনেক অ্যাপ রয়েছে যারা কোনো নোটিফিকেশন বা বিলের অ্যাক্সেস দেয় না। যার ফলে ইউজারের অজান্তেই তার মোবাইল নাম্বারের সঙ্গে লিঙ্ক থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নিলেও বোঝা যায় না।
অ্যাপ আন-ইনস্টল করলেও টাকা কেটে নেওয়ার বিষয় বন্ধ হয় না-
একবার সাবস্ক্রিপশন নেবার পর এই ধরনের SMS অ্যাপগুলি ফের প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনের জন্য টাকা কেটে নেয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। পরে এই অ্যাপগুলিকে আন – ইনস্টল করলেও টাকা ক্রেডিট করার বিষয়টি বন্ধ হয়না।
80 টিরও বেশি দেশের মানুষ এই অ্যাপগুলিকে ডাউনলোড করেছে-
সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি Avast সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে এই ধরনের ভুয়ো SMS অ্যাপগুলিকে ইউনাইটেড আরব এমিরেটস (UAE), মিশর (Egypt), সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকার মতো দেশের ইউজার বেশিরভাগ সময়ে ডাউনলোড করেছেন। ভারতীয় ইউজারের মধ্যে অনেকেই নিজের অজান্তে এই ধরনের অ্যাপগুলিকে ডাউনলোড করতে পারেন বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।