Meta -এর তরফে নতুন অ্যাপ নিয়ে আসা হল। বৃহস্পতিবার Twitter -কে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে লঞ্চ হল মার্ক জাকারবার্গের Meta -এর নতুন সদস্য, Threads। মাত্র 24 ঘণ্টায় 10 মিলিয়ন ইউজার হয়ে গিয়েছে এই অ্যাপের। ফলে আগামীতে Twitter -কে যে এই অ্যাপের থেকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে হবে সেটা বলাই যায়।
Meta -এর Threads কিন্তু সেই অর্থে Twitter -এর মতো নয়, কিন্তু অনেকেই মনে করছেন Threads -এর যথেষ্ট সম্ভাবনা Twitter -কে টক্কর দেওয়ার। তবে যতই এই দুই অ্যাপের মধ্যে মিল খুঁজে পান না কেন নেটিজেনরা এই দুটির মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু পার্থক্য আছে। কী কী? চলুন দেখি।
আজ থেকে 16 বছর আগে পথ চলা শুরু হয় Twitter -এর। যখন এটি নতুন নতুন এসেছিল তখন এটি কেবল একটি ওয়েবসাইট ছিল। দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। কিন্তু পরে অ্যান্ড্রয়েড এবং IOS ফোনের জন্য অ্যাপ হিসেবেও নিয়ে আসা হয়।
অন্যদিকে Threads কিন্তু এখন কেবল অ্যাপ হিসেবেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি Play Store বা App Store থেকে ডাউনলোড করা যাচ্ছে।
ইমেইল, ফোন নম্বর, বা স্রেফ ইউজারনেম দিয়েও Twitter -এ লগইন করা যায়। Elon Musk -এর এই অ্যাপটি একটি স্বাধীন অ্যাপ, এটি অন্য কারও সঙ্গে যুক্ত বা নির্ভরশীল নয়।
আরও পড়ুন: Redmi 12 Launch: বাজেট সেগমেন্টে ফের নতুন ফোন আনছে রেডমি, 1 আগস্ট কত টাকায় লঞ্চ করছে দেশে?
তবে Threads কিন্তু পুরোপুরি ভাবে Instagram -এর উপর নির্ভরশীল। এখনও পর্যন্ত Theads -এ লগইন করতে গেলে Instagram-এ অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি। আবার Instagram -এর অ্যাকাউন্ট ডিলিট না করে Threads -এর অ্যাকাউন্ট ডিলিট করা সম্ভব নয়।
Elon Musk কিছু মাস আগেই Twitter -এর সাবস্ক্রিপশন অপশন নিয়ে এসছেন। Twitter Blue -তে যুক্ত আছে একাধিক অত্যধিক সুবিধাও। অতিরিক্ত শব্দ লেখা যায় সেখানে, কোনও বিজ্ঞাপন থাকে না। এছাড়া ব্লু টিক তো থাকেই।
Threads -এর অ্যাকাউন্টে ভেরিফিকেশন তখন মেলে যখন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড হয়। দুটো অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসের সাবস্ক্রিপশন ফি প্রায় 799 টাকা মতো পড়ে।
দুটো জায়গাতেই ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট লিংক, ভিডিও, ছবি সবই পোস্ট করতে পারেন। দুটো জায়গাতেই GIF পোস্ট করা যায়। তবে Threads -এর ক্ষেত্রে আগে সেটাকে ফোনে সেভ করতে হয়, তারপরই পোস্ট করা যায়।
তবে এই বিষয়ে Threads কিন্তু এগিয়ে, এখানে Twitter -এর থেকে বেশী মিডিয়া ফাইল একসঙ্গে পোস্ট করা যায়। অন্যদিকে Twitter -এ প্রতি টুইটে মাত্র ৪টি ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা যায়। Threads -এ একসঙ্গে 10টা ছবি বা ভিডিও পোস্ট করা যায় Instagram -এর মতোই।
আগে Twitter -এ মাত্র 140টি ক্যারেক্টারের পোস্ট করা যেত। এখন সেটাকে বাড়িয়ে 280 করা হয়েছে। তবে Threads -এ কিন্তু ব্যবহারকারীরা 500 ক্যারেক্টারের পোস্ট করতে পারবেন।
তাছাড়া Meta -এর এই নতুন অ্যাপে গোপনে টেক্সট করা সম্ভব। Threads -এ কেবল ইউজারনেম বা অ্যাকাউন্ট সার্চ করা যায়। অন্য কিছু নয়।
Threads -এর ফিডে সবার পোস্ট শো করে সে আপনি সেই অ্যাকাউন্টকে ফলো না করলেও তার পোস্ট দেখতে পারবেন। Twitter -এ এক্ষেত্রে দুটি ফিড অপশন আছে। একটি হল পছন্দের ভিত্তিতে ফিড দেখা অন্যটি হল কাকে ফলো করছেন সেটার ভিত্তিতে পোস্ট দেখতে পাওয়া।
এছাড়া এই বিষয়ে বলে রাখা ভাল, Threads কিন্তু আপাতত একটি অ্যাড ফ্রি অ্যাপ। তবে আগামীতে এটা বদল হলেও হতে পারে। ফলে কাগজে কলমে Twitter এবং Threads বেশ মিল থাকলেও ব্যবহারকারীরা কিছু একদমই আলাদা অভিজ্ঞতা পাবেন দুটোতে।