সম্প্রতি Facebook-বাসীরা এক গুরুতর সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সেই সমস্যার কথা ছেয়ে গিয়েছিল। অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছেন যে তাঁরা কাউকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট না পাঠানো সত্বেও তাঁদের কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট চলে গিয়েছে।
এই এক সমস্যার কথা Twitter -এও অনেকে জানিয়েছেন। সেখানে বহু ব্যবহারকারীকে স্ক্রিনশট এবং ভিডিও পোস্ট করতে দেখা যায়। পরে জানা যায় এটা আসলে একটা Bug।
Meta গোটা বিষয়টা জেনে তড়িঘড়ি সেটার সমাধান করে। একটা বিবৃতিতে Meta -এর তরফে এই বিষয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে এই সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
শুক্রবার অনেকেই Twitter -এ অভিযোগ জানান যে Facebook নাকি সেইসব প্রোফাইলে নিজে থেকেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে দিচ্ছে যেখানে ব্যবহারকারীরা ভিজিট করছে। অর্থাৎ চুপিচুপি স্টক করতে গিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট চলে যাচ্ছে তাঁর কাছেই যাঁকে কেউ স্টক করছেন।
অনেকেই আবার তাঁদের প্রাইভেসি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কেউ কেউ আবার মশকরা করেন। এই সমস্যার কথা বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা এবং ভারত থেকে জানানো হয়।
কোম্পানির তরফে তড়িঘড়ি বিষয়টার দিকে নজর দেওয়া হয়। এবং পরবর্তীকালে জানানো হয় সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।
Facebook এক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, এই অ্যাপের একটি আপডেটে আমরা এই সমস্যাকে দূর করেছি। ভুলবশত কিছু ব্যক্তির কাছে এই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট চলে গিয়েছিল। আমরা এটাকে আটকে দিয়েছি, আর এমন হওয়ার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।
Facebook -কে হাতিয়ার বানিয়েছেন কিছু প্রতারকরা। আর ফেসবুকের মাধ্যমেই তারা নিরপরাধ ব্যবহারকারীদের ঠকাচ্ছেন। এই মার্চ মাসেও অভিযোগ ওঠে যে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিদের সিস্টেমে ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেওয়া হয়।
CloudSEK -এর তরফে করা একটি রিসার্চে জানানো হয় ChatGPT -এর ফেক পেজ বানিয়ে একাধিক নিরপরাধ ব্যক্তির সিস্টেমে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে প্রতারকরা। এভাবেই তারা ফেসবুককে হাতিয়ার বানিয়েছে। প্রতারকরা ফেসবুককে ChatGPT -এর ফেক পেজ বানিয়েছে যা একদম আসলের মতো দেখতে।
তারা এটার জন্য ChatGPT Open AI -এর মতো ইউজারনেম ব্যবহার করেছিল। এমনকি তাঁরা একাধিক এমন বিজ্ঞাপন চালিয়েছে যেখানে লিংক অফার করে বলা হয়েছে লেটেস্ট ভার্সন অফ চ্যাটজিপিটি, GPT V4, ইত্যাদি।
আর যখনই তাঁরা এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টের পাঠানো লিংক ক্লিক করতেন তখনই তাঁদের ফোনে সেই ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ঢুকে যেত। এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা, তাঁদের প্রাইভেসি প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। তাই বারবার বলা হয় ইন্টারনেট থেকে কিছু না জেনে বুঝে ডাউনলোড করা উচিত নয়।
CloudSEK -এর তরফে জানানো হয়েছে ফেসবুকে এমন 13টি ভুয়ো পেজ এবং অ্যাকাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে যা এই ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছিল। এই অ্যাকাউন্টগুলোতে 5 লাখের বেশি ফলোয়ার আছে।