ফেসবুকের পলিসি না মানলেও ছাড় পেয়ে যান ভিআইপি ইউজারেরা, সামনে এসেছে নতুন রিপোর্ট
ফেসবুকের জেনারেল ইউজার ও ভিআইপি ইউজারদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে
সোজাভাবে বলতে গেলে সেলিব্রিটি ইউজারদের জন্য ফেসবুকের নিয়মনীতি বেশ নমনীয়
এক প্রসিদ্ধ মার্কিন নিউজ পেপার সংস্থা এমনই তাদের রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করেছে
এই প্রজন্মের সবচাইতে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হল ফেসবুক। সারা বিশ্বে প্রতিমাসে অ্যাকটিভ ফেসবুক ইউজারের সংখ্যা 2.85 বিলিয়ন। এই মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া এজেন্সি জানায় যে তাদের কাছে প্রত্যেক ইউজারই সমান। ফেসবুক পলিসির নিরিখে প্রতি ইউজারই একই ট্রিট্মেন্ট পায়। তবে একথা যে পুরোপুরি সত্যি নয়, এমন কিছু ঘটনা চোখে পড়ছে। সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই বিষয়ে অভিযোগ করেছে যে ফেসবুকের পলিসি সাধারণ ইউজার ও ভিআইপি ইউজারদের জন্য আলাদা। সহজে বলতে গেলে সাধারণ ব্যবহারকারীদের চাইতে সেলিব্রিটি ইউজারদের ক্ষেত্রে ফেসবুক পলিসি বেশ নমনীয়।
এই ধরণের পক্ষপাতের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে জনপ্রিয় ফুটবলার নেইমারের একটি পোস্টের কথা। 2019 সালে নেইমার একজন নগ্ন মহিলার ফটো পোস্ট করেছিলেন। ঐ মহিলা নেইমারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। তবে এই ধরনের ফটো কোনো ফটো পোস্ট করা হলে ফেসবুক সাধারণত তার পলিসি অনুযায়ী ডিলিট করে দেয়। তবে নেইমারের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি। ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম মিলিয়ে প্রায় 6 লক্ষের কাছাকাছি ইউজার এই ফটো দেখেছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে ফেসবুকে রয়েছে 58 লাখের কাছাকাছি হাই প্রোফাইল বা ভিআইপি অ্যাকাউন্ট। এই সমস্ত সেলিব্রিটি ইউজারদের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করে ‘ক্রস চেক’ বা ‘এক্সচেক’ প্রোগ্রাম। ভিআইপি ইউজারদের ক্ষেত্রে সাধারণ ইউজারদের মতো অতটা কঠোর হয় না মার্ক জুকারবারগের এজেন্সি। হাই প্রোফাইল ইউজারেরা ভিআইপি পাসের সাহায্য ফেসবুকের নিয়ম ভেঙ্গেও ছাড় পেয়ে যান।
তবে এই বিষয়ে ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন জানিয়েছেন যে, সাধারণত বহু পেজ ও প্রোফাইলের ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করে ‘ক্রস চেক’ প্রোগ্রাম। এই ধরণের অ্যাকাউন্টের রিভিউ করার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার নজরদারি চালানো হয়। যাতে স্পষ্ট হয় যে ফেসবুক তাদের পলিসি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ভুল করছে না। হাই প্রোফাইল অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে যাতে কোনো ভুল না হয়, সেই ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতেই ব্যবহার করা হয় এই প্রোগ্রাম।