Elon Musk কি পদত্যাগ করতে চলেছেন? Twitter থেকে সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি? তাঁর নতুন বক্তব্যের পর এমনই প্রশ্ন উসকে গেল। মাত্র আট মাস আগেই তিনি টুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর অক্টোবরের শেষে ক্ষমতা অধিগ্রহণ করার পর থেকে তিনি যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে নানা সময় নানা বিতর্কের জন্ম হয়েছে। এবার তাই তিনি নিজেই টুইটারে একটি পোল করে জানতে চান তিনি এই সংস্থা থেকে সরে দাঁড়াবেন কিনা? সোশ্যাল মিডিয়াও তাঁকে তাঁর এই প্রশ্নের উত্তরে কড়া জবাব দিতে ছাড়েনি।
19 ডিসেম্বর টুইটারে একটি পোল করেন Elon Musk। তিনি টুইটারবাসীদের প্রশ্ন করেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা কি চান যে তিনি Twitter এর প্রধানের পদ থেকে সরে যান? একই সঙ্গে তিনি এই পোস্টে জানান, সকলে, অধিকাংশ মানুষ যা চাইবেন সেই অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলার বিষয়ে পোলের আয়োজন করেছিলেন এবং সকলের মতামতের ভিত্তিতে তাঁর অ্যাকাউন্ট ফিরিয়েও দিয়েছিলেন।
টুইটারে তাঁর করা এই পোলের ফলাফল কি এসেছে জানেন? 57.6% এর বেশি মানুষের উত্তর হল হ্যাঁ। অর্থাৎ তাঁরা সকলেই চান যাতে মাস্ক এই পদ থেকে সরে যান। মোট 61,92,394টা ভোট পড়েছে এই পোলে। আর সেখানে অধিকাংশ মানুষের উত্তর হল হ্যাঁ।
এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কিছুদিন আগে টুইটারের তরফে ওয়াশিংটন পোস্ট সহ একাধিক প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে দিয়েছিল। Elon Musk এর সংস্থার তরফে জানানো হয় এই সাংবাদিকরা নাকি তাঁদের লাইভ লোকেশন অন পাবলিক করে পরিবারকে বিপদে ফেলে দিয়েছিল। যদিও টুইটারের এ হেন পদক্ষেপের কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ হন। সমালোচনাও করা হয়। তবে কেবল সাংবাদিক নয়, একই সঙ্গে টুইটার তার প্রতিযোগীদের অ্যাকাউন্টও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ভারতীয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট Koo -এর যে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট ছিল সেটাকে টুইটারে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মনে কর হচ্ছে টুইটারকে কড়া টক্কর দেওয়ার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। Koo এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এরপর Elon Muskকে হাত নেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন Elon Musk যে বাকস্বাধীনতার কথা বলেছিলেন এটাই কি সেটা?
এছাড়া টুইটারের ক্ষমতা পাওয়ার পর মাস্ক একাধিক পরিবর্তন এনেছেন এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটের। কখনও উচ্চপদস্থ কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন, কখনও ব্লু টিক পাওয়ার জন্য নয়া সাবস্ক্রিপশন এনেছেন, ইত্যাদি। আর Elon Musk -এর মধ্যে টুইটারকে নিয়ে যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার অধিকাংশ নিয়েই কড়া সমালোচনা হয়েছে। তাঁকে পড়তে হয়েছে কটাক্ষের মুখে।