Android ফোন ব্যবহারকারীদের বেশ মজা, তাঁরা একাধিক অ্যাপ ডাউনলোড করতে এবং সেগুলো প্রয়োজন মতো ব্যবহার করতে পারেন। একাধিক অ্যাপের সুবিধা থাকার ফলে সেগুলোকে আমরা নানান কাজে ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু যেখানেই সুবিধা এবং অপশন বেশি থাকে সেখানে ভয়ও থাকে। এমন একাধিক অ্যাপ রয়েছে যা আর চার পাঁচটা সাধারণ অ্যাপের মতো দেখতে হলেও আদতে সেটা নয়। এগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর। এবং কখন কীভাবে আপনার ক্ষতি করে দেবে জানতেও পারবেন না। এই অ্যাপগুলোকে ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে হ্যাকাররা।
আগে একাধিকবার এমন ঘটনা জানা গিয়েছে যেখানে ক্ষতিকর অ্যাপ ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের ঠকানো হয়েছে। লুট করা হয়েছে তাঁদের সর্বস্ব, চুরি করা হয়েছে তথ্য। আবারও তেমন ঘটনা প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে যে Google Play Store থেকে এই ক্ষতিকর অ্যাপগুলোকে সরানো হয়েছে। নতুন করে 5টি ক্ষতিকর অ্যাপের সন্ধান মিলেছে। এই অ্যাপগুলোর সাহায্যে প্রতারকরা ব্যবহারকারীদের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে।
থ্রেট ফ্যাব্রিক, যা কিনা অ্যামসটারড্যামের একটি সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা তাদের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে ব্যবহারকারীরা যেন সতর্ক থাকে। এই পাঁচটি ক্ষতিকর অ্যাপের সন্ধান মিলেছে। এই সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী এই 5টি অ্যাপকে ভীষণ সাধারণ দেখতে, কিন্তু এই অ্যাপ থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে। ট্রোজান ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে এই অ্যাপগুলো। আর সেই ম্যালওয়্যারের সাহায্যেই এই অ্যাপগুলো লগইন আইডি, ব্যাংকের ডিটেল, ইত্যাদি হাতিয়ে নিতে পারে। এই অ্যাপগুলো যে এক একটা প্রতারণা চক্রের ফাঁদ সেটা কে আর জানত!
এই অ্যাপগুলো যেহেতু ফোনের কোনও ক্ষতি করে না সেহেতু ব্যবহারকারীরা কিছুই টের পান না। অথচ এই অ্যাপ থেকেই চুরি হয়ে যায় তথ্য। এদিকে যাঁরা ব্যবহার করছেন তাঁরা কিছু বোঝেন না, অস্বাভাবিক কিছু দেখেন না। খালি তাঁরা যখন এই অ্যাপ ডাউনলোড করেন তার পর একটি আপডেট আসে। সেটা করলেই ফোনে ম্যালওয়্যার ইনস্টল হয়ে যায় আর তারপর প্রতারকরা তাদের কাজ করতে থাকে।
আপনার ফোনে যে 5টি অ্যাপ থাকলে আপনার বিপদ হতে পারে সেই পাঁচটি অ্যাপ হল : ফাইল ম্যানেজার, মাই ফিটনেস ট্র্যাকার, জেটার অথেনটিকেশন, কোডাইস ফিস্ক্যাল 2022, রিকভার অডিও, ইমেজস অ্যান্ড ভিডিওজ।
এই অ্যাপগুলো কিন্তু ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে। আপনিও যদি এই অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে সতর্ক হন। এবং শীঘ্রই এই অ্যাপগুলোকে আনইনস্টল করুন। জানা গিয়েছে এই অ্যাপগুলো মূলত পোল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়ায় সব থেকে বেশি বড় ডাউনলোড করা হয়েছে। প্রথম দুটি অ্যাপ হাজারেরও বেশি বার এবং শেষ তিনটি লক্ষাধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। ফলে বহু ব্যবহারকারীর তথ্য যে চুরি গিয়েছে ইতিমধ্যেই সেটা বলাই বাহুল্য।