গত মাসেই Twitter এর দায়িত্ব নিয়েছেন Elon Musk। আর তারপর থেকেই তিনি একটার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কখনও কর্মী ছাঁটাই করেছেন তো কখনও ব্লু টিক নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সার্বিক ভাবেই তিনি Twitter এর গোটা ভোল পাল্টে ফেলতে চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরও এক গুচ্ছ প্ল্যানিং রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। সমস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সমস্ত প্রজেক্ট শেষ করা হয়। সেই নিয়ম না মানতে পারলেই খোয়াতে হবে চাকরি। এসব নিয়ে তাও টলমল ভাবে চলছিল, কিন্তু এর মাঝেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো জানা গেল Twitter এর 54 লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে অনলাইনে।
Twitter এর জন্য এ যেন এক দুঃসংবাদ! সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে 54 লাখ টুইটারবাসীর তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। ইন্টারনাল বাগের কারণেই এই তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধুই যে তথ্য ফাঁস হয়েছে এমনটা নয়, একই সঙ্গে সেই তথ্য অনলাইনে বিক্রিও করে দেওয়া হয়েছে হ্যাকার ফোরামে। শুধু যে তথ্য ফাঁস হয়েছে এমনটা নয়। এর পাশাপাশি 14 লাখ টুইটার প্রোফাইলের তথ্য অন্য ভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। Application Programming Interface এর মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই তথ্যগুলো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে শেয়ার করা হয়েছিল।
Twitter ব্যবহারকারীদের যে তথ্য ফাঁস হয়েছে সেগুলো মূলত স্ক্র্যাপ করা পাবলিক ইনফরমেশন। এমনটাই জানা গিয়েছে Bleeping Computer এর পেশ করা একটি রিপোর্ট থেকে। এই ইনফরমেশনে আছে ব্যবহারকারীদের ফোন নম্বর, ইমেল অ্যাড্রেস, ইত্যাদি যা ফাঁস হওয়া মোটেই উচিত ছিল না।
Elon Musk Twitter এর এত তথ্য চুরি যাওয়ার পরেও কিছু জানাননি। মুখে একপ্রকার কুলুপ এঁটে রয়েছেন তিনি। ব্রিচড হ্যাকিং ফোরামের মালিক পমপমপুরিন Bleeping Computer এর কাছে তথ্য ফাঁস করার ঘটনাটা স্বীকার করেছেন। তবে যেহেতু 54 লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য এভাবে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেহেতু মনে করা হয়েছে আরও বড় সংখ্যক তথ্য এখনও জমা করে রাখা আছে।
Twitter এর যে এত বিপুল সংখ্যক তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টা সবার আগে সিকিউরিটি এক্সপার্ট চ্যাড লোডার প্রকাশ্যে আনে। লোডার টুইটারে টুইট করে জানান, 'আমি সবেমাত্র একটি বিশাল টুইটার ডেটা ফাঁস হওয়ার প্রমাণ পেয়েছি, এটা মূলত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং আমেরিকার লক্ষাধিক টুইটার অ্যাকাউন্টগুলোকে প্রভাবিত করেছে। প্রভাবিত অ্যাকাউন্টগুলোর একটি স্যাম্পেলের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। তাঁরা বিষয়টা নিশ্চিত করেছে।' 2021 সালের আগে এমন ডেটা ফাঁস হওয়ার ঘটনা কখনই টুইটারে ঘটেনি বলেই তিনি জানান। লোডারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাবলিক তথ্য রয়েছে, এর মধ্যে আছে মূলত টুইটার আইডি, লোকেশন, নাম, ভেরিফায়েড স্ট্যাটাস, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি, ইত্যাদি।