ফ্রেঞ্চ গবেষক মাক্সাইম ইনগ্রাও (Maxime Ingrao) সমস্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের সচেতন হতে বলেছেন। তিনি বিশ্বের সমস্ত Android Userদের সতর্ক করলেন কিছু খতরনাক অ্যাপস থেকে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা এমন বেশ কিছু অ্যাপস ডাউনলোড করেন যা আদতে অত্যন্ত বিপদজনক। মোট 8টি Malicious apps এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। যদিও গুগল প্লে স্টোর (Google Play Store) থেকে এই অ্যাপগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গুগলের তরফে গুগল প্লে স্টোর থেকে এই ম্যালওয়্যার সংক্রমিত অ্যাপসগুলোকে রিমুভ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের বিপদ কমে যায়নি। যাঁদের ফোনে এই বিপদজনক অ্যাপগুলো এখনও রয়ে গেছে তাঁদের জন্য কিন্তু ব্যাপারটা বেশ চিন্তার। গুগল যতই তাদের প্লে স্টোর থেকে অ্যাপগুলো রিমুভ করে দিক এই অ্যাপগুলোর APK কিন্তু এখনও গুগলে থেকেই গিয়েছে।
মাক্সাইম ইনগ্রাও এর মতে সাইবার প্রতারকরা এই অ্যাপগুলোকে প্রমোট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করছে। সেখানে তারা একাধিক পেজ তৈরি করেছে। এই অ্যাপগুলোর বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে তারা এই সব সোশ্যাল মিডিয়ায়। মাক্সাইম ইনগ্রাও যে আটটি অ্যাপের বিষয়ে সচেতন করেছেন আপনি জানেন সেই অ্যাপগুলোর নাম? তাহলে এখনই জেনে নিন।
তথ্য অনুযায়ী এই অ্যাপটি প্রায় 10 লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এই লঞ্চার অ্যাপের সাহায্যে আপনি আপনার ফোনে থ্রি ডি লুক দিতে পারবেন। এমনটাই দাবি করে এই অ্যাপ। এই খতরনাক অ্যাপটি 10 লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
আরও একটি খতরনাক অ্যাপ হল ফানি ক্যামেরা। এই অ্যাপের সাহায্যে বিভিন্ন ফিল্টার ব্যবহার করে আপনি কোনও ছবি মজাদার লুক দিতে পারেন। এই অ্যাপটি 5 লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এটাও একটি ক্যামেরা অ্যাপ যেখানে নানান ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি তোলা যায়। এই অ্যাপটি এক লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এই অ্যাপটি একটি কিবোর্ড অ্যাপ। এই অ্যাপের সাহায্যে খুব সহজেই GIF পাঠানো যায়। এই অ্যাপটিও 1 লাখ বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এই ফোনের দাবি অনুযায়ী তারা নাকি ব্যবহারকারীদের personalize keyboard দিয়ে থাকে। আপনি যেমন কিবোর্ড চান এই অ্যাপ আপনাকে ঠিক তেমনি কিবোর্ড দেবে। এটাও লক্ষাধিক বার ডাউনলোড করা হয়েছে।
এটিও একটি ফ্রি ফটোগ্রাফি অ্যাপ। অন্যান্য খতরনাক অ্যাপগুলোর তুলনায় এটি কমবার ডাউনলোড করা হয়েছে। 5000 বারের মতো ডাউনলোড হয়েছে এই অ্যাপ।
আপনার ফোনে যত ছবি আছে তাতে রেট্রো লুক দেবে এই অ্যাপ। এই অ্যাপটি প্রায় হাজার খানেকবার ডাউনলোড করা হয়েছে