Cowin Portal -এর নিরাপত্তা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন উঠেছিল। দাবি করা হয় করোনার সময়ে যে পোর্টালে সমস্ত নাগরিক সহ টিকা গ্রহীতাদের সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল সেই পোর্টাল থেকে নাকি তাঁদের সব তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এমনই অভিযোগ ওঠে কিছুদিন আগে।
তারপরই মোদী সরকারের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। আর সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে Cowin Portal একদম নিরাপদ। তবুও অভিযোগ আসার পর গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
সাউথ এশিয়া ইনডেক্স অর্থাৎ যাঁরা যে কোনও ধরনের তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে, নজর রাখে তাঁরা তাঁদের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি টুইট করে বিষয়টি সামনে আনে। এবং সেই টুইটে জানায় টেলিগ্রামে নাকি এই Cowin পোর্টালের সমস্ত টিকা গ্রহীতাদের সমস্ত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই Telegran আদতে WhatsApp -এর মতোই একটি ইনস্ট্যান্ট ম্যাসেজিং অ্যাপ।
আরও পড়ুন: ইমোজি বার সহ নয়া কিবোর্ড আনল WhatsApp! ব্যাপারটা কী?
এই সাউথ এশিয়া ইনডেক্সের তরফে বলা হয়েছে এখানে যে কেবল সাধারণ নাগরিকদের তথ্য আছে এমনটা নয়, একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী থেকে তারকা সবার তথ্য আছে।
এখানে অভিযোগ করা হয় যে Telegram -এর একটি অটোমেটিক চ্যাটবটে দেশের সমস্ত টিকা গ্রহীতাদের পাসপোর্ট নম্বর, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর সহ অনেক তথ্যই ফাঁস হয়ে গিয়েছে। আর এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরই স্বাভাবিক ভাবে মানুষের মধ্যে একটা হইচই পরে গিয়েছে।
কংগ্রেস রীতিমত তুলোধোনা করে বিজেপিকে। সলোচনায় সরব হয় তৃণমূল সহ একাধিক বিরোধী দল। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই গোটা বিষয়ের তদন্ত করে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে এই Cowin পোর্টাল একদম নিরাপদ। তবুও তারা গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে Aadhaar আপডেট করার আর মাত্র দুই দিন বাকি, এই উপায়ে বাড়ি বসেই সেরে ফেলুন কাজ
যদিও এই প্রথম নয় এর আগেও একাধিকবার সরকারি অ্যাপের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তখনও সরকারের তরফে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে বিষয়টি মেটানো হয়।
ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে হ্যাকার নিজে থেকে এসেই জানিয়েছেন তিনি Cowin থেকে কোনও তথ্য চুরি করেননি, বরং এই অ্যাপ সম্পর্কিত এবং যুক্ত একটি প্ল্যাটফর্মের যে গলদগুলো আছে সেগুলোকে তিনি চিহ্নিত করেছেন। যদিও কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে তিনি এই তথ্য পেয়েছেন সেটা প্রকাশ্যে আনেননি। এই হ্যাকার একটি টেলিগ্রাম চ্যাটবট চালায় যেখানে তিনি টিকা গ্রহীতাদের সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য জেনারেট করেছেন এবং অন্য প্ল্যাটফর্মে থাকা গলদ থেকে তিনি এই সব তথ্য পেয়েছেন বলে জানান।