হোয়াটসঅ্যাপ এই ইউজার্সদের ব্যান করল, আপনি সেই তালিকায় নেই তো?
আপনাদের বলে রাখি যে এই সময়ে হোয়াটসঅ্যাপের বেশ কিছু থার্ড পার্টি ভার্সান আছে, আর এই ভার্সান গুলি ও প্রচুর পরিমাণে ব্যাবহৃত হয়
হোয়াটসঅ্যাপ সারা বিশ্বের সব থেকে বেশি ব্যাবহৃত ও জনপ্রিয় মেসেঞ্জিং অ্যাপ হিসাবে পরিচিত। আর সম্প্রতি কোম্পানি মেসেজ ফরোয়ার্ডিবং অপশানে রেস্ট্রিকশান করার পরে একই মেসেজ একসঙ্গে 5জনের বেশি পাঠানো যায়না। আর এবার কোম্পানি একটি নতুন বিষয়ে জানিয়েছে। এই সময়ে হোয়াটঅ্যাপের থার্ড পার্টি ভার্সান ডাউনলোডও প্রচুর পরিমাণে করা হয়।
আর এখন হোয়াটসঅ্যাপ এই সমস্যার সমাধান বার করেছে, হোয়াটসঅ্যাপ সেই সব ইউজার্সদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে যারা থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যাবহার করে। আর একটি মিডিয়া রিপোর্টকে সত্যি বলে মনে করলে জানা গেছে যে এই ইউজার্সদের আপাতত টেম্পারেরি বন্ধ করা হয়েছে, আর এর মানে এই যে মডিফাই ভার্সান হওয়ার পরে ব্যান করা ইউজার্সরা তাদের অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করতে হবে। আর এর পরে তাদের হোয়াটসঅ্যাপের অফিসিয়াল ভার্সান ডাউনলোড করতে পারে। আর এবার তারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যাবহার করতে পারবেন।
আপনাদের বলে রাখি যে এই সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ বাজারে 10 বছর ধরে ব্যাবহৃত হচ্ছে। আর এই বছর এই অ্যাপের দশবছর পূর্ণ হচ্ছে। আর হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের অ্যানিভার্সারি করার সময়ে এই অ্যাপে 1.5 বিলিয়ান ইউজার্সদের ধন্যবাদ দিয়েছে। আর তারা তাদের ব্লগ পোস্টে ফেসবুক অধিকৃত এই কোম্পানি তাদের এই দীর্ঘদিনের সফরে কিছু বড় ধরনের সাফল্য ও পরিবর্তনের কথা জানিয়েছে। আর এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ফিচার্স স্টিকার আর গ্রুপ কলিংও আছে।
এই অ্যাপটির প্রথম দিকের বিষয়ে যদি আমরা বলি তবে কোম্পানি 2009 সালে Brian Acton আর Jan Koum য়ের মধ্যমে শুরু হয়েছিল যা 2007 সালের পরে শুরু করা হয়। আর 2009 সালের প্রথমে Koum আইফিন কেনেন আর সেখানে তাহাক অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপকে ডেভলাপ করেন। আর তিনি পরে তাঁর বন্ধুর সঙ্গে মিলে একটি মেসেঞ্জিং অ্যাপ তৈরি করেন যা ধিরে ধিরে iOS আর অ্যান্ড্রয়েডে চলা শুরু করে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রথম ভার্সানে অনেক বাগ ছিল আর পরে তা স্টেবেল করা হয় আর মাত্র ৬ মাসের মধ্যে এই অ্যাপের সঙ্গে 2,50,000 ইউজার বেস বানিয়ে নেয়। আর চার বছরের মধ্যে এই অ্যাপে 200মিলিয়ান ইউসার যুক্ত হয় বলে কোম্পানি জানায়। আর 2014 সালে ফেসবুকের সঙ্গে সংযুক্তির পরে এটি আরও বেশি জনপ্রিয় অ্যাপ হিসাবে আসে আর প্রতিমাসে 1.5 মিলিয়ান ইউজার্স আছে যার মধ্যে 200মিলিয়ান ইউজার্স ভারতের। সব ধরনের মানুষ এই অ্যাপ ব্যাবহার করেন।
হোয়াটসঅ্যাপ বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর আগের দু’বছরে এই অ্যাপের মাধ্যমে ভারতে সব থেকে বেশি তাড়াতাড়ি স্প্রেড হয়। আর যা মেসেজ ফরোয়ার্ডের ক্ষেত্রে একটি সংখ্যা করে দেইয়া হয়েছে আর এবার এই সীমিত সংখ্যার ফরোয়ার্ডেড মেসেজ সারা বিশ্বে প্রযোজ্য।
নোটঃ Digit Bangla এখন Telegram য়েও, সারা দিনের সেরা টেক খবর পেতে আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন।