সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন লিকের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বারংবার দেশ জুড়ে সমালোচনা হয়েছে সরকারি সার্ভারগুলির সিকিউরিটি ও প্রাইভেসি নিয়ে। এবার অভিযোগ CoWin অ্যাপের বিরুদ্ধে।
শোনা যাচ্ছে, কয়েক হাজার ভারতীয় নাগরিকের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এবং অ্যাপসে থাকা অন্যান্য ব্যক্তিগত ডকুমেন্টস ফাঁস হয়ে গেছে। অনলাইনে সাধারণ সার্চ করলেই পাওয়া যাচ্ছে এইসকল ইনফরমেশন।
ইতিমধ্যেই রেইড ফোরামে রীতিমতো সেল হচ্ছে এইসকল ডিটেইলস। অনলাইন স্ক্যামাররা প্রায় 20,000 মানুষের ডকুমেন্টস ইতিমধ্যেই সেল করেছে বলে জানা গেছে। এই রেইড ফোরামে পাওয়া যাবে এইসকল মানুষের যাবতীয় ব্যাক্তিগত তথ্য।
সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চার Rajsekhar Rajaharia টুইট করে জানিয়েছেন কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN) এর মাধ্যমে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে। যেখানে নাম ও কোভিড রেজাল্টের পাশাপাশি অন্যান্য ডিটেইলস ও লিক হয়েছে।
ইতিমধ্যেই Google এর ইনডেক্সিং-এ জায়গা করে নিয়েছে এসকল ইনফরমেশন। রিসার্চার Rajsekhar বলেছেন," মানুষের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, PAN, Covid এর RTPCR রেজাল্ট সরকারি CDN এর মাধ্যমে লিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই Google এর ইনডেক্সিং এর ফলে সার্চ রেজাল্টেই এই তথ্য দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও ডার্ক ওয়েবে সেল হচ্ছে Covid আক্রান্তের ব্যক্তিগত তথ্য। দ্রুত এই সব তথ্য ইনডেক্সিং থেকে সরিয়ে ফেলা উচিত।"
রেইড ফোরামের রিপোর্ট অনুযায়ী, CoWin পোর্টালে আপলোড করার উদ্দেশ্য ছিল এসকল ইনফরমেশন যা মুহূর্তের মধ্যে ইন্টারনেটে লিক হয়ে যায়।
Covid awareness ও vaccination এর জন্য ডিজিটাল টেকনোলজি উপরেই ভরসা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র থেকে Aarogya Setu অ্যাপটি এইসকল কাজের জন্য আনা হয়েছিল।
এই ঘটনার পর সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত। Rajsekhar Rajaharia-এর মতে, মানুষ যেন ভয় না পেয়ে সতর্ক হয়ে যান। স্ক্যামাররা ফোন কল বা মেসেজের মাধ্যমে আপনার আরো ডিটেইলস জেনে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করার চেষ্টা করবে। ডার্ক ওয়েবে ইনফরমেশন যাওয়ায় আরও বেশি সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।
অপরদিকে CoWin এ বেশ কিছু চেঞ্জ আনা হয়েছে। মাঝখানে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও CoWin-এ তা দেখাচ্ছিলনা। এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে অ্যাপটিতে। কোম্পানিটি জানিয়েছে, যেকোনো সমস্যা ওয়েব পোর্টালে রিপোর্ট করলে তার 3 থেকে 7 দিনের মধ্যে তা সমাধান করা হবে।