অনলাইনে গেম খেলতে খেলতে ফোন হয় যাচ্ছে স্লো? কীভাবে ফাস্ট করবেন জানুন

অনলাইনে গেম খেলতে খেলতে ফোন হয় যাচ্ছে স্লো? কীভাবে ফাস্ট করবেন জানুন
HIGHLIGHTS

10,000-15,000 টাকা বাজেটের ডিভাইসেও এখন ভালো RAM স্পেসিফিকেশন পাওয়া যায়

ফোন পুরনো হলে মোবাইল গেম ল্যাগ হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়

গেম খেলতে শুরু করার আগে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলিকে বন্ধ করে দিলে কাজ ভালো হয়

আপনি বহুদিন ধরেই নিজের মিড রেঞ্জের স্মার্টফোনে বেশ স্মুথলি মোবাইল গেম খেলছেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখছেন যে গেম খেলার সময় হ্যান্ডসেট মাঝে মাঝে হ্যাং করছে। গেমও চলতে চলতে ল্যাগ করছে। সাধারণত ফোন যত পুরনো হয়, তত এই ধরনের ঘটনার পরিমাণ বাড়তে থাকে।

এখন হাই কোয়ালিটি গেম খেলতে আর দামি মোবাইলের দরকার পড়েনা। 10,000-15,000 টাকা বাজেটের ডিভাইসেও ভালো স্পেসিফিকেশন পাওয়া যায়। তবে এক্কেবারে গ্যারান্টি দিয়ে এটাও বলা যায় না যে এই ফোনগুলিতে সবসময় ভালোভাবে মোবাইল গেম চলবে।

তবে আজ আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন কয়েকটি টিপস, যেগুলি মেনে চললে আপনার পুরনো ফোনেও পাওয়া যাবে দুর্দান্ত গেমিং এক্সপেরিয়েন্স। জানুন কি কি-

1. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলিকে বন্ধ করে দিন-

যে কোনো গেম খেলতে শুরু করার আগেই ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলিকে বন্ধ করে দিন। মাথায় রাখবেন যে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপগুলি কিন্তু মোবাইলের স্টোরেজকে অনেকটাই খেয়ে নেয়। যেকারণে হাই- গ্রাফিক্সের গেমগুলি স্লো হয়ে যেতে পারে।

2. ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসকে বন্ধ করুন-

আপনি স্মার্টফোনে সবেমাত্র কোনো মোবাইল গেম চালু করেছেন। কিন্তু দেখছেন যে হঠাৎ করে গেম ল্যাগ করছে। এমনটা হতে পারে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিস চালু থাকলে। তাই মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ভিসকে বন্ধ করে দিয়েই গেম খেলা শুরু করুন।

3. অ্যাপ আপডেট অপশনকে “Resume” করুন-

অনেকসময় ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ আপডেট করার অপশন এনাবেল থাকলে অন্য অ্যাপ ইউজ করার সাথে সাথেই বাকি অ্যাপগুলো লেটেস্ট ভার্সনে আপডেট হতে থাকে। গেম খেলার সময় যদি ব্যাকগ্রাউন্ডে বিভিন্ন অ্যাপের আপডেট চলতে থাকে। তাহলে কিন্তু গেম খেলতে যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দরকার, তা পাওয়া যাবেনা। এছাড়া অ্যাপ আপডেট হবার সময় মোবাইলের সিস্টেল রিসোর্সের ব্যবহারও হয়। যার ফলে গেম খেলতে যা রিসোর্স দরকার তা পাওয়া যায় না। তাই গেম খেলতে শুরু করার আগে অ্যাপ আপডেট অপশনকে “Resume” করে নিন।

4. WiFi নেটওয়ার্কের সাথে লিঙ্ক থাকা অন্য ডিভাইসগুলির কানেকশনকে বন্ধ করুন-

গেম খেলার আগে আপনার বাড়ির WiFi রাউটারের সাথে যে ডিভাইসগুলি কানেক্টেড রয়েছে সেগুলির অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিন। যার ফলে গেম খেলার সময় পিং কম পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে ইন্টারনেটও চলবে হাই –স্পিডে।

5. কাছের গেম সার্ভারকে সিলেক্ট করুন-

অনলাইনে গেম খেলতে শুরু করবার আগে একটি সার্ভারকে সিলেক্ট করতে হয়। আপনি যেখানে গেম খেলছেন সেই জায়গার সবথেকে কাছের সার্ভারকে সিলেক্ট করলে পিং কম আসে। যার ফলে গেমও ভালো করে খেলা যায়।

6. ভেবেচিন্তে গ্রাফিক্স সিলেক্ট করুন-

আপনি যদি 10,000-15,000 টাকা বাজেটের কোনো ফোন ইউজ করেন, সেখানে হাই গ্রাফিক্সে গেম খেলতে গেলে কিন্তু ডিভাইস ল্যাগ করবেই। তাই ফোনের স্পেসিফিকেশন দেখে চিন্তা- ভাবনা করে উপযুক্ত গ্রাফিক্সের গেম সিলেক্ট করুন।

7. পারফরমেন্স মোডকে এনাবেল করুন-

আজকাল বেশ কয়েকটি স্মার্টফোনে গেম খেলার জন্য বিশেষ মোডের ফিচার অফার করা হয়। যাকে পারফরমেন্স মোড বা গেমিং মোড বলা হয়। এই মোডকে এনাবেল করলে মোবাইলের প্রসেসর গেমিং জোনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। 

8. পাওয়ার সেভিং মোডকে ডিজেবেল করুন-

ফোনের পাওয়ার সেভিং মোড চালু থাকলে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমনটা হয় ব্যাটারি বাঁচানোর তাগিদে। আপনি যদি ফোনের ব্যাটারি সেভিং মোড গেম খেলার সময়তেও চালু রাখেন তাহলে বেশ কয়েকটি ব্যাকগ্রাউন্ড ফিচার কাজ করতে পারবে না। যার ফলে গেম ল্যাগ করবে।

9. নেট কানেকশনের স্পিড ঠিক রাখুন-

ভালো গেম খেলতে গেলে দরকার ভালো ইন্টারনেট কানেকশনের। আপনার বাড়ির ওয়াইফাই কানেকশনের স্পিড যদি স্লো হয়, তাহলে ডিভাইস গেম চলার মাঝেই হ্যাং করতে পারে। তাই ইন্টারনেট স্পিড ঠিক না থাকলে ব্রডব্যান্ড সার্ভিস প্রভাইডারের সাথে যোগাযোগ করুন।

Digit Bangla
Digit.in
Logo
Digit.in
Logo