গত বছরের অক্টোবর থেকে ভারতে 5G পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। ভারতের প্রায় 500 টির বেশি শহরে এই পঞ্চম জেনারেশনের ইন্টারনেট পৌঁছে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনেকে এই পরিষেবা ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছেন।
এখানে যেমন দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা মিলছে তেমনই কিছু অসুবিধাও দেখা দিচ্ছে। অনেকেই বলছেন 5G ব্যবহার করলে নাকি দ্রুত ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাচ্ছে। তবে এই অভিযোগ সত্যি।
5G বেশি পাওয়ার কনজিউম করে এবং তাপ উৎপন্ন করে। এটা 4G LTE এর মতো এনার্জি এফিশিয়েন্ট নয় একদমই।
এই দ্রুত ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার সমস্যাটা মূলত Non-standalone 5G পরিষেবায় দেখা যাচ্ছে। এই পরিষেবা 4G -এর উপর নির্ভর করে। অন্যদিকে স্ট্যান্ডঅ্যালন 5G পরিষেবা কম ব্যাটারি খরচ করে কারণ এটা 4G নির্ভর নয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে নন স্ট্যান্ডঅ্যালন 5G পরিষেবায় দ্রুত গতির ইন্টারনেট মিললেও এখান কল বা মেসেজ পাঠানোর জন্য কিন্তু 4G বা 3G ব্যবহার করছে ফোন। আর এটার কারণেই বেশি ব্যাটারি খরচ হচ্ছে। একই ডিভাইসে একই সঙ্গে দুটো আলাদা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
তাই আপনি যদি 4G থেকে 5G সুইচ করে এই সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন তাহলে ভয় পাবেন না, আপনি আবার 4G -তে ফিরে যেতে পারবেন। এবং ব্যাটারি বাঁচাতে পারবেন। বিশেষ করে আপনি যখন বাইরে যাচ্ছেন কোথাও আর আপনার ফোনের ব্যাটারি বাঁচানোর প্রয়োজন আছে তখন। দেখুন কী করে 5G থেকে 4G তে সুইচ করবেন।
এটার জন্য সবার আগে আপনার ফোনের সেটিংস অপশনে যান।
এবার সেটিংস মেনুতে গিয়ে কানেকশন এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক অপশনে যান।
এবার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপশনের ভিতর থাকা নেটওয়ার্ক মোড ক্লিক করুন।
এখানে আপনি দেখুন বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক মোড পাবেন। এখান থেকে 4G LTE/3G/2G অটো কানেক্ট অপশন বেছে নিন।
এই নিয়ম মেনে চললেই আপনি আপনার ফোনে 5G বন্ধ করে 4G LTE বা তার কম গতির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনার ফোনের সেটিংস অ্যাপে যান।
এবার সেখানে গিয়ে সেলুলার অপশনে ক্লিক করুন।
এবার এখানে গিয়ে সেলুলার ডেটা অপশনে ক্লিক করুন।
এবার ভয়েস অ্যান্ড ডেটা অপশনে ক্লিক করুন।
এবার এখানে লিস্ট থেকে LTE বেছে নিলেই 5G বন্ধ হয়ে যাবে।
এবার আপনি 5G অটো অপশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার আইফোন নিজে থেকেই যখন প্রয়োজন হবে না তখন 5G বন্ধ করে দেবে। এতে আপনার ফোনের ব্যাটারি বাঁচবে। এ বিষয়ে মনে রাখবেন iPhone 12 বা তার বেশি মডেলের ফোনে 5G সাপোর্ট করে।